প্রতিনিধি ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৮:১২:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক হাফিজা খাতুনের বিরুদ্ধে আটক বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদি হয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।এছাড়াও আর্থিক লেনদেনের একটি অডিও কল রেকর্ড জমা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে আর্থিক লেনদেনের অডিও কল রেকর্ড ও লিখিত অভিযোগ গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসেছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগে প্রকাশ, গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক হাফিজা খাতুনের নেতৃত্ব একটি টিম।
তানোর পৌরসভার সুমাশপুর মহল্লার বাসিন্দা ট্রাক চালক আলমগীর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে কোনো মাদকদ্রব্য পায়নি। কিন্ত্ত তার পরেও মাদক সেবনের কথিত অভিযোগে আলমগীরকে আটক করা হয়। আটকের কারন জানতে চাইলে তার স্ত্রীর কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন কর্তব্যরত কর্মকর্তা। এ সময় তারা নগদ ১৫ হাজার টাকা দেন। আরো ২৫ হাজার টাকা না দিলে তাকে ছাড়া হবে না বলে ১০টা পর্যন্ত লইব্যাতলা ব্রীজে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্ত্ত চাহিদামত অর্থ না পেয়ে তাকে নিয়ে কালীগঞ্জের দিকে রওয়ানা হয়।
তারা বিশস্ত সুত্রে জানতে পারেন। কালীগঞ্জে দুজনকে আটক করে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনা স্থলেই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরে সরনজাই হয়ে দেবীপুর যাবার পথে বিকেল ৪টার সময় এই ০১৯৮৭-০৪২১৫০ নম্বর থেকে আলমগীরের স্ত্রীর এই ০১৩২১-৩৩২৯২২ নম্বরে ফোন দিয়ে এক বান্ডিল টাকা চাই। টাকা না দিলে ভ্রাম্যমান আদালতে আলমগীরের এক বছরের সাজা দেবার ভয় দেখানো হয়। কিন্ত্ত তিনি টাকা দিতে না পারায় তার স্বামীকে উপজেলা ভূমি অফিসে নিয়ে গেলে ভ্রাম্যমান আদালতে তার ৬ মাসের বিনাশ্রম সাজা দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্র জানায়, তানোর ও গোদাগাড়ীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একশ্রেণীর কর্মকর্তার কিছু দালাল রয়েছে।
এরা আসামি ধরিয়ে আবার টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে নেয়। পরে সেই টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। এদিকে ০১৯৮৭-০৪২১৫০ নম্বরে ফোন দেয়া হলে মিঠু নামের এক ব্যক্তি বলেন, তার কাছে থেকে ফোন নিয়ে আসামি বাড়িতে কথা বলেছেন। সেখানে কি কথা হয়েছে তা অজানা। আসামির কাছে তার ফোন কেনো এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, হাফিজা ম্যাডামের কথায় তাকে ফোন দেয়া হয়েছে, তবে এটা করা তার ঠিক হয়নি। এবিষয়ে জানতে উপ-পরিদর্শক হাফিজা খাতুুুুনের (০১৭১১-৪৮২৪২৩) ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কল গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন বলেন, তাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের লিখিত অভিযোগসহ কল রেকর্ড দিতে বলা হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।#