প্রতিনিধি ৩ ডিসেম্বর ২০২২ , ৩:১৫:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং বিএনপি আতাউর রহমান ও তার ভাই মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ময়েনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্কুলের সভাপতি লাল মোহাম্মদ বাদি হয়ে মফিজ উদ্দিন দিগরকে বিবাদী করে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে স্থানীয় অভিভাবক মহলের অভিযোগ, বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারে সময়ে প্রয়াত ডাকমন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের মদদে, ময়েনপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের দু’পুত্র মফিজ উদ্দিন এবং কাউন্সিলর পৌর বিএনপির সম্পাদক আতাউর রহমান ময়েনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন বিঘা ফসলী জমি জবরদখল করে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আবার উপজেলা প্রশাসন তাদের পর পর দুটি নোটিশ দেয়া হলেও মফিজ ও আতাউর কোনো জবাব দেননি। জমি দখলের ঘটনায় অভিভাবক মহলে তীব্রক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে এসব জমি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা প্রশানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার জেল নম্বর ৭৪, ময়েনপুর মৌজায়, আরএস খতিয়ান নম্বর ৩৫৮ ও প্রস্তাবিত খতিয়ান নম্বর ৪৪৮ এবং ১১৯২ নম্বর দাগে ৯৬ শতক সম্পত্তি রয়েছে। সুত্র জানায়, যাহার দলিল নম্বর ১৩৭৯ তারিখ ২৩/২/১৯৯৪, দলিল নম্বর ৩৬১৯ তারিখ ২৬/৬/১৯৯৪ ও দলিল নম্বর ৩৮৯১ তারিখ ৬/৭/১৯৯৪ এবং যাহার খারিজ কেস নম্বর ২২১-৯/১/১৯৯৪-৯৫ ও ১৪৯০-৯/১/১৯৯৪-৯৫ তিনটি দলিলে মোট ৯৬ শতক সম্পত্তি রয়েছে ময়েনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে। অথচ মফিজ উদ্দিন ও
কাউন্সিলর আতাউর রহমান পেশী শক্তির জোরে এসব জমি জবরদখল করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক বলেন, বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে মফিজ উদ্দিন ও বিএনপি নেতা আতাউর রহমান পেশী শক্তির জোরে স্কুলের জমি জবরদখল করে এখানো নিয়ন্ত্রন করছেন, এতে স্কুলের প্রায় ২৪ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, আতাউর রহমান এলাকার প্রভাবশালী তাই জমি উদ্ধার করতে পারছি না, তাকে নিয়ে এমনিতেই আমরা অজানা আতঙ্কে থাকি। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি লাল মোহাম্মদ বলেন, এসব জমি উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন, তবে প্রশাসনের কাছে থেকে আশাব্যঞ্জক সহায়তা পাচ্ছেন না। এবিষয়ে জানতে চাইলে মফিজ উদ্দিন ও আতাউর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বৈধভাবে তারা এসব সম্পত্তি ভোগদখল করছেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে,বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে।