প্রতিনিধি ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১:৪৪:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তনোরে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক মাস আগে পাকা হওয়া রাস্তা নষ্ট করে মাটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তানোরের কামারগাঁ ইউপির মাদারিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকাবাসির মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্ত্ত বিষয়টি সংশ্লিস্ট প্রশাসনকে অবহিত করেও রাস্তা রক্ষা ও মাটি বাণিজ্য বন্ধ করা যাচ্ছে না। মাদারিপুর গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি মতাদর্শী স্কুল শিক্ষক মাজেদ আলী পেশী শক্তি প্রদর্শন ও নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পুকুর পুনঃখনন এবং প্রতি গাড়ী মাটি ৮০০ টাকা দামে বিক্রি করছে। অবৈধ ট্রাক্টর করে এসব মাটি বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন করতে গিয়ে এলাকার পাকা রাস্তা নষ্ট করা হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, এলাকার বিভিন্ন পাকা রাস্তায় মাটি পড়ে চরম ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে।
এমনকি কদিন আগে বৃষ্টি হওয়ায় ওই রাস্তায় ছোট কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। অবৈধ ট্রাক্টর ও স্কেভেটর (ভেঁকু) মেশিনের বিকট শব্দের সঙ্গে ধুলোবালিতে এলাকার পরিবেশ নস্ট হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুরে গ্রামবাসী এসবের প্রতিবাদে মাটি পরিবহনে বাধা দিলে বুলেটের নেতৃত্বে রাম দা ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে এতে সেখানে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবৈধ মাটি পরিবহন বন্ধ করা না হলে সেখানে যেকোনো সময় খুন-জখমের মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে গ্রামবাসী শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্র জানায়,
রাতে পুকুর খননের সময় পুরাতন বন্দুক সাদৃশ্য বস্তু ও মুর্তি পাওয়া গেছে, তবে তারা কাউকে সেটা দেখতে দেয়নি, পুকুর পাড়ে রীতিমতো পাহারা বসিয়ে পেশী শক্তি প্রদর্শন করে মাটি বাণিজ্য করা হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, নতুন-পুরাতন পুকুর খনন বা পুনঃখনন করতে হলে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে এবং কোনো অবস্থাতেই মাটি বাইরে বিক্রি করা যাবে না এমন বাধ্যবাধকতা রয়েছে।কিন্ত্ত মাজেদ এসব নিয়মনীতি উপেক্ষা করেই মাটি বাণিজ্য করছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যেভাবে পাকা রাস্তা নষ্ট করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এসব দেখার কেউ নাই, তাদের কিছু বলতে গেলেই প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে, তাদের কাছে আমরা অসহায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাজেদ আলী বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আমার পুকুর আমি পুনঃখনন করছি, বন্দুক সাদৃশ্য বস্ত্ত ও মুর্তি পাবার ঘটনা নিছক গুজব। তিনি বলেন, মাটি বাইরে না দিলে এতো মাটি আমি কি করবো, আর রাস্তা নস্ট হলে সরকার দেখবেন এটা নিয়ে গ্রামবাসির অভিযোগ করার কিছু নাই। ট্রাক্টর চালক বুলেট বলেন, মালকড়ি খরচ করে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই পুকুরের মাটি বাইরে দেয়া হচ্ছে এবং ইউপি চেয়ারম্যান অনুমতি দিয়েছে। তাই কেউ বাধা দিতে তাকে এখানে মাটির নিচে পুঁতে দেয়া হবে সেই ক্ষমতা নিয়ে তারা কাজ করছেন।এবিষয়ে কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী ফরহাদ বলেন, তিনি কোনো অনুমতি দেননি, তবে তারা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পুকুর পুনঃখনন করছেন বলে শোনেছেন।