প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২২ , ২:২০:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে ক্রয় রশিদ ব্যতিত অবৈধ সার মজুদের অপরাধে এক ব্যবসায়ীর ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছে, জরিমানা বড় কথা নয়, প্রয়োজনে ব্যবসায়ী জসিমকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে কাগজপত্র ব্যতিত এক ট্রাক সার কিভাবে কোথা থেকে আসলো, এর নেপথ্যে রয়েছে কে এটা আগে নিশ্চিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তারা এবিষয়ে জেলা পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন।
জানা গেছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় মোড়ে একটি সারের দোকানে অভিযান চালিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ এই অর্থদন্ড দেন। অভিযানের সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ধানতৈড় মোড়ের সার ব্যবসায়ী মেসার্স জসিম ট্রেড্রার্সের স্বত্ত্বাধিকারী ধানতৈড় গ্রামের জসিম উদ্দিন ক্রয় রশিদ ব্যতিত চোরাপথে এনে এসব সার মজুদ করেছিল।
এদিকে ব্যবসায়ী জসিমের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও, এসব সার আসল-নকল না চোরাই তা এখানো নিশ্চিত করা যায়নি। কৃষি বিভাগ বলছে, তদন্ত করা হচ্ছে, আর কৃষকেরা বলছে, এখানে তদন্তের কি আছে, সারের আটকের বৈধ কাগজপত্র না থাকা মানেই তো তা চোরাই। সুত্র জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নৌবন্দর থেকে প্রায় ১২০ মেট্রিক টন ডিএপি সার চুরি হয়েছে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ৭৯ মেট্রিক টন সার উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। কৃষকদের ধারণা কম দামে এসব চোরাই সার কিনে আনে জসিম, তা না হলে কেউ এক ট্রাক সার কিনবেন আর তার ক্রয় রশিদ নিবেন না এটা হতে পারে না। এবিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, তিনি নওয়াপাড়া মোল্লা ট্রেডার্স থেকে এসব সার কিনেছেন, সেখানে টাকা থাকলে সারের ওভাব নেই, তবে সারের ক্রয় রশিদ তিনি দেখাতে পারেননি।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এসব সারের বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত সম্পন্ন হলে বোঝা যাবে সারগুলো কোথা থেকে এসেছে। যেহুতু সারের ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি, সেহুতু এটা নিয়ে এতো দীর্ঘ সময় তদন্তের কি প্রয়োজন এমন প্রশ্নের তিনি কোনো সদোত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেছেন।