মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের বিরুদ্ধে কৃষকের পেঁয়াজ প্রণোদনার টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কৃষকেরা গত ১৫ নভেম্বর ডাকযোগে কৃষি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে। কৃষি অধিদপ্তর সূত্র বলছে, তানোর উপজেলায় ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই ধাপে মোট ১৫০ জন কৃষককে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫০ টাকা প্রণোদনা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কষক প্রতি নগদ ২ হাজার ৮০০ টাকা করে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং কৃষক প্রতি উপকরণ ২ হাজার ৪৪৯ টাকা করে মোট ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫০ টাকা।
উপকারভোগী একাধিক কৃষকের অভিযোগ, প্রণোদনার তালিকায় কৃষক নয় এমন ব্যক্তিসহ স্বজনপ্রীতি, এবং অল্প কিছু কৃষককে নামেমাত্র প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনার প্রকল্পে যেখানে কৃষক প্রতি বরাদ্দ রয়েছে ৫ হাজার ২৪৯ টাকা। বরাদ্দের টাকা কৃষকদের বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রতিটি কৃষককে বিকাশে ২৮০০ টাকা করে পাঠানোর কথা থাকলেও তালিকার অনেক কৃষক সে টাকা পায়নি। আর তালিকায় নেই প্রকৃত কৃষক। কৃষকরা বলছেন, বরাদ্দের বাকী ২৪৪৯ টাকার মধ্যে বালাইনাশক বাবদ ২১০০ টাকা, নায়লন সুতলি বাবদ ১৫০ টাকা,
অন্যান্য খরচ বাবদ ১৪৪ টাকার ভাউচার প্রদান করা হয়। প্রকৃতপক্ষে কৃষককে দেওয়া হয়, ৫০০ টাকার পলিথিন, ৮০ টাকার বালাইনাশক (৫০ গ্রাম অটোষ্টিন), ৪৫ টাকার সুতলি। প্রতিটি কৃষক পায় ৬২৫ টাকার মালামাল। বাকী টাকা আত্মসাৎ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা। দীর্ঘ এই পরিক্রমায় তিনি সখ্যতা করেছেন একশ্রেণীর নামধারী গণমাধ্যম কর্মীর সঙ্গে। তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে চলছে নানা অনিয়ম দুর্নীতি। প্রধানমন্ত্রী যেখানে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য দারিদ্র্য ও অসহায় কৃষকদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন, সেখানে এমন দূর্নীতিবাজরা প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য অর্জনে বাধাগ্রস্ত করছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
কৃষি প্রণোদনার বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অবগত রয়েছেন। এখানে অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো সুযোগ নাই। কৃষকের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তালিকায় কোন অসংগতি থাকলে সেটা উপজেলার চেয়ারম্যানরা বলতে পারবেন, কারণ কৃষকের তালিকাটা তারা আমাদের দেয়।এ বিষয়ে একাধিকবার তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে জানতে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (কৃষিবিদ) মাজদার হোসেন এর অফিসে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারংবার তাঁকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.