মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার পাঁচন্দর দাখিল মাদরাসা চলছে সুপার মাওঃ আবুল কালাম আজাদ মনগড়া নিয়মে। এতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ-অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
নীতিমালা অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাদরাসা খোলা রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্ত্ত সুপার তার স্বঘোষিত নিয়মে অফিস সময় ফাঁকি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মাদরাসার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ৩ ঘন্টা করে পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছে,পাঁচন্দর দাখিল মাদরাসা আকুন্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এসব কারণে মাদরাসায় কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। গড়ে উঠেনি শিক্ষা গ্রহণের সুষ্ঠু পরিবেশ, প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থীও নাই। এবতেদায়ী শাখায় ৪ জন শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী নাই বললেই চলে।
স্থানীয়রা জানান, মাদরাসায় প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র-শিক্ষাপোকরণ নাই, কম্পিউটার শিক্ষক আছে তবে কম্পিউটার ল্যাব শিক্ষার্থী নাই, লাইব্রেরিয়ান আছে লাইব্রেরী নাই, অপরিস্কার ঝুকিপূর্ণ
একাডেমিক ভবন, শহীদ মিনার,জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্ধারিত স্থান ও সীমানা প্রাচীর নাই। নিয়মিত জাতীয় সঙ্গীত হয় না, শিক্ষক-কর্মচারীরা অফিস সময় মানেন না। এখানে কর্মরত সকল শিক্ষক-কর্মচারী জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। কম্পিউটার শিক্ষক কম্পিউটার চালাতে পারদর্শী নয়, কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ বাইরে থেকে করানো হয়।এতে একদিকে অর্থের অপচয়, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য বাইরের মানুষের হাতে যাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষকেরা সৃজনশীল বোঝে না।
জানা গেছে, বিগত ১৯৯২ সালে মুন্ডুমালা পৌরসভার পাঁচন্দর মহল্লায় এলাকাবাসীর মতামত নিয়ে মাদ্রাসা টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০০১ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি ও একই বছরে এমপিভুক্ত করা হয়। মাদরাসায় শিক্ষক রয়েছেন ১৭ জন, কর্মচারী ৫ জন, তবে প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী নাই। অভিভাবক মহল শিক্ষকদের অফিস সময়, কম্পিউটার শিক্ষা, লাইব্রেরী কার্যক্রম ও প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিত, সকলের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালনা কমিটি গঠন এবং যে বিষয়ে শিক্ষার্থী সংকট সেই বিষয়ের শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিদর্শনের দাবিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসা সুপার মাওঃ আবুল কালাম আজাদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্য্যন্ত মাদরাসা চালানো হয়। তিনি বলেন, এতে যদি কারো আপত্তি থাকে তাহলে আবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাদরাসা চালানো হবে। তিনি আরো বলেন, মুন্ডুমালা স্কুল ,কলেজ,মহিলা কলেজ, গালস স্কুল ময়েনপুরসহ এই এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুপুর পর্য্যন্ত। এবিষয়ে মাদরাসার সভাপতি ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সম্পাদক বদিউজ্জামাল নয়ন বলেন, সরকারি নিয়মের ব্যত্তয় ঘটিয়ে মাদরাসা চালানো হলে অবশ্যই সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.