প্রতিনিধি ৩০ অক্টোবর ২০২৪ , ১২:১০:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর সরকারী খাদ্য গুদামে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তানোর সরকারি খাদ্য গুদামে অধিকাংশক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মে কোনো কাজ হয় না। কাজে ক্রটি থাক বা নাই থাক পদে পদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা দিতে হয় ব্যতিক্রম হলেই পদে পদে হয়রানি। এছাড়াও ডিওলেটার আটকিয়ে টাকা আদায়, ভাল মানের চাল বের করে নিম্নমাণের চাল গুদামজাত, বিশেষ কৌশলে বস্তা থেকে চাল বের করে নেয়া ক্র্যাসিংয়ে মিলারদের চিকন ধান দিয়ে মোটা চাল নেয়া ইত্যাদি অভিযোগের কথা সাধারণ মানুষের মুখে মুখে প্রচার রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে ক্র্যাসিংয়ে চিকন ধান দিয়ে মোটা চাল নেয়া, কালোবাজারে কেনা ভিজিডি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির চাল সংগ্রহ হিসেবে নেয়ার সুযোগ করে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেয়ারপ্রাইস কর্মসুচির (খাদ্যবান্ধব) এক ডিলার বলেন,উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার নেপথ্যে মদদে সব অনিয়মের নিয়ন্ত্রক কতিপয় কর্মচারি, তার মাধ্যমেই এসব অনিয়ম হয়ে থাকে। তিনি বলেন, তাকে আর্থিক সুবিধা না দিলে বেছে বেছে নিম্নমাণের চাল গছিয়ে দেয় প্রতিবাদ করলেই কপালে শনির দশা-? খাদ্যগুদাম থেকে যে চাল দেয়া হয় সেই ধান উপজেলায় উৎপাদন করা হয় না।
নিয়মানুযায়ী গুদাম থেকে যে ধান মিলারদের কাছে ক্র্যাসিংয়ের জন্য পাঠানো হয়, মিলারদের কাছে থেকে সেই ধানের চাল নেয়ার কথা। কিন্তু তানোর খাদ্যগুদামে সেটা করা হয় না। সরেজমিন তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। তারা এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরেজমিন তদন্তের দাবি করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর সরকারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মুকুল টুডু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগে কি হয়েছে সেটা তার বিষয় নয়, তবে তার সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো সুযোগ নাই।