মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরের আকচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্কুল তহবিল ও স্লীপ বরাদ্দের অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে অভিভাবক মহলে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছে প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করা না হলে তারা তাদের সন্তানদের এখানে পড়া-লেখা করাবেন না। এদিকে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও
সরেজমিন তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত ২৫মে বৃহস্প্রতিবার এলাকাবাসী স্থানীয় সাংসদ ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আওয়ামী লীগ শিক্ষাবান্ধব সরকার তাই শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মাণ বাড়াতে শ্রেণি কক্ষ থেকে শুরু করে টয়লেট, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও বিদ্যালয় মেরামত বাবদ স্লীপ প্রকল্পে বিদ্যালয় প্রতি ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ করেছেন।
এক থেকে একশ" শিক্ষার্থী রয়েছে এমন বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার, এক থেকে দুশ"শিক্ষার্থী রয়েছে এমন বিদ্যালয়ে ৭৫ হাজার ও এক থেকে তিনশ" শিক্ষার্থী রয়েছে এমন বিদ্যালয়ে এক লাখ টাকা করে স্লীপ প্রকল্প থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে তানোরের আকচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লীপ প্রকল্প থেকে ৭৫ হাজার ও ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্প থেকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামি ৩০ জুনের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে স্কুলের দৃশ্যমান তেমন কোনো উন্নয়ন কাজ না করেই এসব টাকা খরচ দেখিয়েছে (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক চম্পা রানী।
সরেজমিন তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহকারী এক শিক্ষক বলেন, এখানে প্রতিবছরেই বরাদ্দ আশে তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না, এবারো তেমনটি হতে চলেছে। এমনকি স্কুল তহবিলের
থাকা টাকাও নয়ছয় হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক চম্পা রাণী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব টাকার কাজ করা হয়েছে, কাজ করতে গিয়ে অর্থ সংকট পড়লে স্কুল ফান্ডের টাকা দিয়ে কাজ করা হয়েছে। তবে তিনি এসব কাজের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেননি। এবিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি ও আকচা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাশেদ আলী বলেন,
বিষয়টি উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কৃর্তপক্ষ। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি পিযূষ কান্তি চৌধূরী বলেন, অধিকাংশ বিদ্যালয়ে সবেমাত্র টাকা উত্তোলন হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে দেখেশুনে কাজ করা হবে। অর্থ তছরুপের তো কোনো প্রশ্নই উঠে না। এসব বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.