প্রতিনিধি ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২:০৯:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
মোহাম্মদ আসাদ- বকশীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
জামালপুর বকশীগঞ্জে একটি তক্ষক উদ্ধারসহ আট প্রতারককে আটক করেছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ। রোববার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারনা ও বন্যপ্রাণী আইনে মামলা হয়েছে। সোমবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার তরমুছ পাড়া এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে শামছুর রহমান সুমন (৪০),নবীনপুর এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে নুর আলম (৩৮),কর্নঝোড়া এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে আল আমিন (৩৮),সুলতান মাহমুদের ছেলে আবদুল হালিম (৩০),শ্রীবরদী মুন্সিপাড়া এলাকার সৈয়দুর রহমানের ছেলে জিয়ার আলী (৪৫),মাটিফাটা এলাকার বাছির উদ্দিনের ছেলে খালিদ হাসান ওরফে হিপুল(৪৮),বকশীগঞ্জ উপজেলার যদুরচর এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে হাসান তারেক ওরফে বিপ্লব(৪২) ও দাড়িপুরা এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে আবজাল শরিফ (৩৮)।
বকশীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ আকরাম হোসেন জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সন্ধায় বকশীগঞ্জ পৌরশহরের আলিবাবা হোটেলের সামনে থেকে এই চক্রের মূল হোতা শামছুর রহমান, নুর আলম ও তারেক রহমান ওরফে বিপ্লবকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে রাতেই মাটিফাটা এলাকায় হাসান ওরফে হিপুল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি তক্ষক উদ্ধারসহ ওই চক্রের আরো ৫ জনকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট বলেন,আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে প্রতারনা ও বন্যপ্রাণী আইনে মামলা হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে উদ্ধারকৃত তক্ষকটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তক্ষক সম্পর্কে বন বিভাগ জানায়, তক্ষক (ইংরেজি : ঞড়শধু মবপশড়, বৈজ্ঞানিক নাম : এবশশড় মবপশড়) গেকোনিডি গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতির নিরীহ বন্যপ্রাণী। পিঠের দিক ধুসর, নীলচে-ধূসর বা নীলচে বেগুনি-ধূসর। সারা শরীরে থাকে লাল ও সাদাটে ধূসর ফোঁটা।
পিঠের সাদাটে ফোঁটাগুলি পাশাপাশি ৭-৮টি সরু সারিতে বিন্যস্ত। কমবয়সী তক্ষকের লেজে পরপর গাঢ় নীল ও প্রায় সাদা রংয়ের বলয় রয়েছে। সাধারণত পুরাতন বাড়ির ইটের দেয়াল,ফাঁক-ফোকড় ও বয়স্ক গাছে এরা বাস করে। কীটপতঙ্গ, টিকটিকি, ছোট পাখি ও ছোট সাপের বাচ্চা খায়। এটি প্রায় বিপন্ন একটি বন্যপ্রাণী।