প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২২ , ১:৫৪:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
শুক্রবার ভোর থেকেই সড়ক-মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ধীরে চলছে যানবাহন। বিভিন্ন জায়গায় গাড়ির এই ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে যাত্রী ও চালকরা।
সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার যানজট রয়েছে। এছাড়া কোণাবড়ি থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস, সাভার-নবীনগর চন্দ্রা সড়কের কবীরপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এতে করে যানজটে আটকে প্রচণ্ড গরমে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা যাচ্ছেন ব্যবসায়ী কাদের মিয়া। গাবতলী থেকে বাসে রওনা হয়েছেন রাত ১১টায়। সেই গাড়ি সকাল ৮টায় যানজটে আটকে আছে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত এলেঙ্গায়।
৯ ঘণ্টায় মাত্র ১০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে ঢাকা থেকেই বিভিন্ন স্থানে কয়েক ঘণ্টা যানজটে আটকে ছিল তাদের বাস। এখন তিনি জানেন না কখন সেতু পার হবেন আর কখন গন্তব্যে পৌঁছবেন। এই অবস্থা শুধু কাদের একার নন, উত্তরের পথে ঈদে ঘরমুখো লাখো মানুষের একই অবস্থা, একই ভোগান্তি। এবিষয়ে কেনোবাড়ি হাইওয়ে পুলিশের ওসি ফিরোজ হোসেন জানান,
টাঙ্গাইলের দিক থেকে যানবাহনের ধীরগতি চন্দ্রা পর্যন্ত এবং চন্দ্রা থেকে নবীনগর সড়কে জিরানী এবং চন্দ্রা থেকে গাজীপুরের দিকে কোনাবাড়ি পর্যন্ত যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। পুলিশ চেষ্টা করছে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে। এদিকে চান্দনা চৌরাস্তায় ফ্লাইওভার নির্মাণসহ সড়কজুড়ে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় কোথাও কোথাও একলেনে চলছে গাড়ি। গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যানজট কিছুটা কমলেও একেবারে স্বাভাবিক হয়নি।
এ মহাসড়কের স্টেশন রোড, হোসেন মার্কেট, বোর্ড বাজার, মালেকের বাড়ি, ভোগড়া বাইপাস মোড়, চান্দনা-চৌরাস্তাসহ কয়েকটি পয়েন্টে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। এদিকে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে ঢাকা থেকে উত্তর বঙ্গগামী লেনে যানবাহনের দীর্ঘ সারি থাকলেও নেই যানজটের ভোগান্তি। যদিও উত্তরের জেলাগুলো থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়া কোরবানীর পশুবাহী ট্রাকগুলো যানজটে আটকা থাকায় আতঙ্কে সময় পার করছেন গরু ব্যবসায়ীরা।