প্রতিনিধি ২ আগস্ট ২০২২ , ৫:১১:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
খুলনা ডুমুরিয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দিবারাতে চুরি, ছিনতাই ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটে চলছে । এতে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতংঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রসংগত, গত শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেলে উড়ান্ত ছিনতাই কারি মোটরসাকেল যোগে এসে এক ভ্যান যাত্রী নাড়ির গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনা স্থলঃ খুলনা- সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া থানাধীন আটলিয়া বিট এলাকার চুকনগর সরদার বাড়ি বটতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। রাজিব নামের এক ভ্যান চালক নাড়ি যাত্রী নিয়ে চুকনগরে যাচ্ছিলেন। এসময়
উড়ান্ত ছিন্তাইকারি চক্র চলন্ত ভ্যানের যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণের চেইন টি ছিনিয়ে নেয়।
পূর্ব থেকে ছিনতাইকারী মোটরসাইকেল যোগে ভ্যানটির পিছু নেয়। এরপর সুযোগ বুঝে এ ঘটনা ঘটায়।
গত শুক্রবার বিকেলে চুকনগর মাংশ হাটা থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। এঘটনায় চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের মালিক উপজেলার মালতিয়া গ্রামের মৃত,রফিকুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা থানায় জিডি করতে গেলে জিডি নেয় নি থানা পুলিশ এমনটি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ওই দিনে বিভিন্ন সময়ে চুকনগর এলাকা থেকে আরও ৪ টি মোটরচালিত ভ্যান চুরি হয়েছে বলে জানাগেছে।২৬/৭/২২ইং,তারিখে ডুমুরিয়ার ইউপি সদস্য সাংবাদিক মোক্তার হোসেনের apach মোটরসাইকেল চুরি হয় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্সের সামনে হতে। কিন্তু তার কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
একই ভাবে ২৭ জুলাই উপজেলা সহকারী কমিশনার অফিসের নাজির মোঃ সাইফুল ইসলামের মহিলা কলেজ রোডে বাসার সামনে থেকে পালসার ১৫০ সিসি লাল রঙ্গের মোটরসাইকেল চুরি করেছে চোর সিন্ডিকেট। তার ও কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। গত ২০১৯ সালের ৬ মার্চ চুকনগর থেকে দিবালোকে সাংবাদিক শেখ আব্দুস সালামের নিজ নামীয় রেজিঃ ১২-৪৩১৬ নম্বর ১২৫ সিসি লাল কালো রঙের মোটরসাইকেল চুরির করে নেয় চোর সিন্ডিকেট। তার কোন ক্লু এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানা মামলা নং ৫,তারিখ ৬/৩/২০১৯,৯ জুলাই।
চুকনগরে অভিনব কায়দায় মোটরভ্যান ছিনতাই হয়েছে। গত শনিবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের চুকনগর সরদার বাড়ি বটতলা এলাকা থেকে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী ভ্যানচালক,ডুমুরিয়া থানাধীন আটলিয়া বিট এলাকার মঠবাড়িয়া গ্রামের মৃত নাজের আলি সরদার ছেলে মোঃ সিদ্দিক সরদার (৪৬)। ভুক্তভোগী জানায়, চুকনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে দুইজন যুবক খর্ণিয়া বাজারের যাওয়ার কথা বলে ভ্যানে উঠেন।এরপর মহাসড়কের চুকনগর সরদার বাড়ি বটতলা এলাকায় নির্জন স্থানে পৌঁছালে যাত্রী বেশে ভ্যানে থাকা তিন যুবক ভ্যান চালককে এলোপাতাড়ি মারপিট করে রাস্তার পাশে খাদে ফেলে দিয়ে ভ্যানটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর রাস্তা দিয়ে আসা লোকজন ভ্যান চালাককে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কাঁঠালতলা বাজারে পাঠিয়ে দেন। আহত ভ্যান চালক সিদ্দিক সরদার স্থানীয় একটি ক্লিনিক ভর্তি হয়। ডুমুরিয়ার আটলিয়া বিট এলাকায় কাঁঠালতলা বাজারের কীটনাশক ও বিকাশ এজেন্ট ব্যাবসায়ি নিরাপদ দেবনাথ (৫৬) নামের এক ব্যাক্তিকে এলোপাতাড়ি ভাবে রাম দা ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়েছে দূর্বৃত্তরা। সে উপজেলার আটলিয়া বিট এলাকার বরাতিয়া গ্রামে মৃত, গনেশ দেবনাথের ছেলে।গত শুক্রবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ব্যবসায়ি নিরাপদ দেবনাথ প্রতিদিনের ন্যায় ব্যাবসায়িক কাজ শেষে করে দোকান বন্ধ করে কাঁঠালতলা বাজার থেকে বাইসাইকেল যোগে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে গ্রাম্য ইটের রাস্তায় দিয়ে যাওয়ার সময় বরাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে পৌঁছালে মোটরসাইকেল যোগে আসা দুই জন দূর্বৃত্ত তাদের হাতে থাকা দাঁ চাইনিজ কুড়াল দিয়ে অর্তর্কিতভাবে কোপায়। এক পর্যায়ে সে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেলে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনা স্থলে এসে আহতকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি নিজ বাস ভবণে পূর্ণ বিশ্রমে রয়েছেন।
এছাড়া গত সপ্তাহে গভির রাতে ডুমুরিয়া থানাধীন আটলিয়ার কুলবাড়িয়া এলাকার অবসর প্রাপ্ত সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলি আহম্মেদ মোড়ল বাড়ি থেকে ৮ বস্তা ধান ও দুটি মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। চুকনগর সদর থেকে ৮ টি বাড়ি থেকে ১২ টি মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। এছাড়া ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর,আঠারমাইল খর্ণিয়া কাঁঠালতলা,
শাহাপুর,শরাফপুর,রঘুনাথপুর এলাকর হাটবাজার মসজিদ, মন্দির ও খেলার মাঠ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই বছর যাবৎ প্রায় দেড় শত মোটরসাইকেল ও শতাধিক মোটরভ্যান চুরি হয়েছে। এর মধ্যে একটিও উদ্ধার করতে পারে নাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ফলে সাধারণ মানুষ জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে চরম আতংক রয়েছে। যেনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি দেখা দিয়েছে। ১। সাংবাদিক মোক্তার হোসেন এ্যাপাসি ১৬০ সিসি ২। সাইফুল ইসলাম নজির পালসার ১৫০ সিসি, ৩। সোহেল রানা পালসার ১৫০ সিসি,
৪। হাফিজুর রহমান ডিসকাভার ১২ সিসি,
৫। সুকর্ন ঘোষ ডিসকাভার ১২৫ সিসি
৬। অজিত কুমার সরদার ডিসকাভার ১০০ সিসি,
৭। রাজ মিস্ত্রি বিল্লাল হোসেন, পালসার ১৫০ সিসি,
৮। সাংবাদিক শেখ আব্দুস সালাম, ১২৫ সিসি ডিসকাভার,
৯। মিঠু মোড়ল পালসার ১৫০ সিসি
১০। মশিয়ার রহমান পালসার ১৫০ সিসি,
১১। শেখ শাহাবুদ্দিন ১০০ সিসি
১২। ইউসুফ হালদার ১৫০ পালসার
১৩। সরদার অহিদুল ইসলাম ১০০সিসি,
১৪। তুহিন এ্যাপাসি ১৬০ সিসি,
১৫। রাব্বি হোসেন এ্যাপাসি ১৬০ সিসি,
১৬। এরশাদ বিশ্বাস ১২৫ গ্যালামার সিসি
১৭। বরাতিয়ার ডিসকাভার ১২৫ সিসি,
১৮। ইমু দফাদার পালসার ১৫০ সিসি,