প্রতিনিধি ১২ জানুয়ারি ২০২২ , ৫:০১:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নিউজ ডেস্কঃ
এক জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নিয়োগ আদেশ বাতিল নিয়ে প্রশাসনে সমালোচনার ঝড় বইছে। গত ৫ জানুয়ারি ১১ উপসচিবকে বিভিন্ন জেলায় ডিসি হিসেবে নিয়োগের পর ‘ছাত্রদল সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগে একজনের নিয়োগ আদেশ বাতিলের পদক্ষেপ এ সমালোচনা জন্ম দেয়।যার ডিসি পদ বাতিল হচ্ছে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখার উপসচিব নাফিসা আরেফীন। তাকে নীলফামারীতে ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। বিশ^বিদ্যালয় জীবনে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন- এমন অভিযোগে তার পদায়ন বাতিল হচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে মেহেরপুরে ডিসি পদে নিয়োগ পাওয়ার পর ছাত্রদল সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামকেও পদায়ন করা হয়নি। এভাবে প্রজ্ঞাপন জারির পর ‘রাজনৈতিক তকমায়’ নিয়োগ বাতিল হওয়াকে প্রশাসনের জন্য মন্দ নজির বলে মনে করছেন সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তারা।রাজনৈতিক কারণে নাফিসার পদায়ন বাতিল হচ্ছে কিনা- এমন প্রশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগ) মো. আনিছুর রহমান মিঞা আমাদের সময়কে বলেন, ‘এ বিষয়ে সচিব স্যার ও মিডিয়া সেল কথা বলবে। আমার বলার এখতিয়ার নেই।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কেএম আলী আজমকে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও ফোনে সাড়া দেননি।
প্রজ্ঞাপনে দেখা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি যে ১১ কর্মকর্তা ডিসি হয়েছেন তাদের ৫ জনই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। ডিসি পদে নিয়োগ পাওয়ার পর গত রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তাদের ব্রিফিং হয়েছে। সেখানে নাফিসা আরেফীনকে ডাকা হয়নি। গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ পাওয়া ৫ জনের ৪ জনকে অবমুক্ত করা হয়। নাফিসাকে করা হয়নি। অর্থাৎ তিনি ডিসি পদে যোগদানের সুযোগ পাচ্ছেন না। তার পদায়ন আদেশ বাতিল হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা জানান, নাফিসার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রদল করতেন। ধারণা করা হচ্ছে এমন অভিযোগেই তার নিয়োগ বাতিল হচ্ছে। তবে নাফিসার সহপাঠী ও অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, তিনি দীর্ঘদিন জনপ্রশাসনে কাজ করছেন। তার মধ্যে কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়নি। তার নিয়োগ বাতিল হওয়া দুঃখজনক। এ বিষয়ে জনপ।