প্রতিনিধি ৩ আগস্ট ২০২২ , ১০:৪১:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে কাঁচা মরিচের বাজার। ঠাকুরগাঁও জেলায় মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে । প্রকারভেদে ৮০ টাকার মরিচ কাঁচা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির প্রভাবে কিছুটা বেড়েছে মরিচের দাম । বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে খুচরায় ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনতে লাগছে ৫০ টাকা। সে হিসাবে কেজি প্রতি দাম পড়ছে ২০০ টাকা, কোথাও কোথাও ২২০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহখানেক আগেও ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি ছিল কাঁচা মরিচ। তার আগের সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার গুলোতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণের মতো। গত কয়েক দিন আগে তীব্র গরম ও সম্প্রতি দুই–তিন দিনের বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে মরিচের। এ কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, মাত্র তিন দিন আগে সবজি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৮০/১০০ টাকা।
দুদিন পর আজ তা পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। প্রয়োজনের তুলনায় বাজারে কাঁচা মরিচের পরিমাণ অনেক কম থাকায় বাধ্য হয়ে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাসাধারণের। ঠাকুরগাঁও জেলার শহরের বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা গৃহবধূ হালিমা বলেন, প্রতিদিন নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। দুদিন আগে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ৮০ টাকা, আজ কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বাজার নিয়মিত মনিটরিং না হওয়ার কারণেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছামতো দাম বৃদ্ধি করছে। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা ফারুক বলেন, ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি না হওয়ার কারণে আড়তগুলোতে বেশি দামে মরিচ বিক্রি করছেন কৃষকরা। আমরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি আড়ত থেকে বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। এসব কাঁচামরিচ আমরা বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে কিনে নিয়ে আসি।
তিনি আরো বলেন, বিগত দিনে তীব্র গরম এবং হঠাৎ করে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের ফুল নষ্ট হয়ে গেছে। তাতে উৎপাদনও অনেক কম হচ্ছে ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। যার কারণে মরিচের দাম বেড়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, বাজারের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চলছে।