• কৃষি

    টানা বৃষ্টিতে শীতকালীন ফসলের ক্ষতির শঙ্কা লক্ষ্মীপুরে

      প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২৪ , ২:৩৫:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    এইচ.এম আল আমিন-স্টাফ রিপোর্টার:

    সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে সারা দেশে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়া বাইছে। লক্ষ্মীপুরেও বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টির সাথে বাইছে ঝড়ো হওয়া। জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে করে কমেছে জেলার তাপমাত্রা। আর এই বৃষ্টিতে জেলায় শীতকালীন ফসলেন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

    টানা বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এদিকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পৌরসভার সমসেরাবাদ, মিয়া আবু তাহের সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। জেলায় কৃষকরা এবার আগাম সবজি চাষাবাদ শুরু করলেও দুদিনের দিনের ভারী বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় সবজিখেত পানিতে ডুবে গেছে। এতে শীতকালীন ফসলের আবাদে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে শঙ্কা কৃষকদের।

    এছাড়া গত দেড় মাস ধরে বন্যায় ২০টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছে। সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের মান্দারী, দিঘলী, বাংগাখাঁ, লাহারকান্দিসহ ২০টি ইউনিয়নের মানুষে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে।ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেনির শিক্ষার্থী তাজরিয়ান আক্তার ইফা ও আর্দশ সামাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনির শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান জানান, সকাল ৮টা বিদ্যালয়েরে শ্রেনি কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাড়িঁয়ে রিকশা ও সিএনজি পাওয়া যাচ্ছে না।

    ফলে সঠিক সময়ে স্কুলে যেতে না পেরে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।লক্ষ্মীপুর রামগতি আবহাওয়া সতর্কীকরণ অফিসের কর্মকর্তা সৌরভ হোসেন বলেন, ‘মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে জেলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার পর ঝড় হওয়ায় সাথে সাথে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি আরো দুই/একদিন থাকতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা কমে শীত অনুভূত হবে।গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কমেছে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ বুধবার ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।বৃহস্পতিবার ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

    এদিকে আবহাওয়ার এক সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ