প্রতিনিধি ২২ জুন ২০২২ , ৫:৪৩:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
২২/০৬/২০২২ ইং জয়পুরহাট সার্কিট হাউস মাঠে জেলা পুলিশ আয়োজিত সন্ত্রাস, জঙ্গী ও মাদক বিরোধী সমাবেশে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান।অনুষ্ঠানটির সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আঃ বাতেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুরহাট ২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আবু সাইদ আল-মাহমুদ স্বপন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিল এড. সামছুল আলম দুদু সংসদ সদস্য জয়পুরহাট ১ আসন,
অন্যান্নদের মাধ্যে উপস্হিত ছিল জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দরা।এ ছাড়া জয়পুরহাট জেলার সর্বস্তরের জনগন,আওয়ামিলীগ এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী।সন্ত্রাস, জঙ্গী ও মাদক বিরোধী সমাবেশে জেলার শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তন ও অবৈধ কিডনি পাচার চক্রের প্রতারণার শিকার প্রায় ১৫জন অসহায়, দুস্থ ও অসুন্থ কিডনি দাতাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মহোদয় বলেন, জয়পুরহাট জেলা একটি শান্তি প্রিয় এলাকা। জয়পুরহাট জেলার একটি মানুষও যেন পুলিশি সেবা হতে বঞ্চিত না হন সে দিকে লক্ষ রাখা এবং সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সমাজ গড়তে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি সর্বসাধারণকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহবান জানান। তিনি জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবৈধ কিডনী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবৈধ কিডনি পাচার চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ব্যাক্তিবর্গ ও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আরো বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে তৈরি করে ফেলা হয়েছিলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাস ও জঙ্গী দমন করেছে।’ তিনি আরও বলেন ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন আমাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেন তখন তিনি (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলেন, “তুমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেজন্য তোমাকে এ দায়িত্ব দিলাম।”
তখন থেকে সুচারুভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা যেভাবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন করেছি, একইভাবে মাদকের বিরুদ্ধেও সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের সরবরাহ, চাহিদা এবং এর ক্ষতি হ্রাস করার জন্য আমরা কাজ করছি। মাদক সামাজিক ব্যাধি। এটি নিজের জীবনের সঙ্গে সঙ্গে একটি পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দিতে পারে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দুর্বার গতিতে চলছে। মাদক নিরোধ সম্ভব না হলে দেশের সেই উন্নয়ন যাত্রা থমকে যেতে পারে।মাদক নির্মূলেও সফল হতে হবে। সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে, আমরা সফল হব। আমরা এ যুদ্ধে জয়ী হব। এ জন্য একযোগে কাজ করতে হবে।
অন্যথায় নতুন প্রজন্ম পথ হারিয়ে ফেলবে।মাদক নির্মূলে কঠোর হয়ে কাজ করতে হবে সব বিভাগকে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে জনপ্রতিনিধি, সমাজপতি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শপথ নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে সমাজে যেন মাদক ও মাদক ব্যবসায়ী স্থান না পায়। এ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব হলে মাদক নিয়ন্ত্রণে আসবে। এদিকে, সদর থানার চকবরকত পুলিশ ফাঁড়ির নবনির্মিত ভবন, ও পুলিশ লাইন্সের নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধে কর্নার, গৌরবময় স্বাধীনতা, জয়পুরহাট পুলিশ লাইন্স স্কুলে, শহীদ পুলিশ সুপার মুক্তিযোদ্ধা নজমুল হক পুলিশ লাইন্স হাইস্কুল এর নামকরন এর উদ্বোধন করেন।