প্রতিনিধি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৬:৩২:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
আরিফুল ইসলাম কারীমী-স্টাফ রিপোর্টারঃ
কবিরাজি চিকিৎসার অন্যতম উপাদান হল উদ্ভট সব পন্থায় মানুষকে ‘বিশ্বাস’ করানো যে, ‘প্রকৃত’ চিকিৎসা চলছে৷ শাররিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন, ঝাড়-ফুক, তাবিজ-কবজ এসব মানুষ সহজেই মেনে নেয় কারণ তারা কবিরাজি যুগযুগ ধরে এভাবেই করতে দেখেছে; এটা আমদের সমাজেরই অংশ৷সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ‘জিন তাড়ানোর’ কথা বলে এক গৃহবধূকে নিয়ে উধাও হয়েছেন কবিরাজ আজিম।
জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার পাড় জামিরতা গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের মেয়ে আছিয়া বেগমকে ৮ মাস আগে পার্শ্ববর্তী হামলাকোল গ্রামের গ্যাদন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পরপরই আছিয়ার মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করা যায়। পরে পার্শ্ববর্তী ডায়া গ্রামের আজিম কবিরাজের কাছে নিয়ে যান স্বজনরা।
আছিয়াকে জিনে ধরেছে বলে কবিরাজ আছিয়ার মাকে জানান। জিনের কবল থেকে আছিয়াকে মুক্ত করতে ২২ হাজার টাকাও দেন কবিরাজকে। দীর্ঘ দেড় মাস চিকিৎসার পর আরো টাকা দাবি করেন কবিরাজ। অসহায় মা সেই টাকা দিতে দিতে ব্যর্থ হলে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে আছিয়াকে নিয়ে উধাও হন কবিরাজ।
এ বিষয়ে গৃহবধূ আছিয়ার মা আমেনা বেওয়া বলেন, চিকিৎসার অযুহাতে কবিরাজ আজিম আমার মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। আমার মেয়ে কোথায় আছে, কিভাবে আছে তাদের কোনো হদিস মিলছে না। আছিয়াকে না পেয়ে তার স্বামী ও শাশুড়ি চরম হতাশ হয়েছেন।শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ খান জানান, ইব্রাহিম নামের একজন অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।