• আমার দেশ

    জেলহত্যা দিবস, বিষাদে ভরা একটা বিয়োগান্ত দিন।

      প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২১ , ৬:৪২:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সলংগা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কালরাত্রির পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অনুপস্থিতিতে দৃঢ়তার
    সাথে দক্ষ হাতে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে হাল ধরেছিলেন সেই নির্ভীক চার বীর সেনাপতিকে ১৯৭৫ সালের ৩ রা নভেম্বর জেলখানার চার দেয়ালের মধ্যে পৈশাচিক ও নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। দেশ কে নেতৃত্ব শুন্য করার এক জঘন্য ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ছিল সেই দিনে। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ কে মেনে নিতে পারেনি,

    যারা অন্তরে লালন করতো পাকিস্তানের পতাকা, তারাই একটি সংঘবদ্ধ চক্র বঙ্গবন্ধু’র পরিবার পরিজন সহ জাতীয় চার নেতা কে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্যই হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছিলো সেই সময়ে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জেলখানায় নির্মম হত্যার শিকার চার জাতীয় নেতাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
    সেই সাথে ঘৃনা প্রকাশ করছি সেই হত্যার সাথে জড়িত এবং নেপথ্যে জড়িত জাতীয় বেঈমান- কুলাঙ্গারদের।
    চার নেতা’র পরিচিতি তুলে ধরছি–
    ১)- সৈয়দ নজরুল ইসলাম— বাংলাদেশের প্রথম সরকার, মুজিবনগর সরকারের উপ- রাষ্ট্রপতি ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। কিশোরগন্জের সন্তান ছিলেন।
    ২)- তাজউদ্দীন আহমেদ– একজন আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
    তিনি সাবেক অর্থ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছিলেন,গাজীপুরের কাপাসিয়ার সন্তান ছিলেন।
    ৩)- ক্যাপটেন মনসুর আলী– মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন, ১৯৭৫ সালে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যোগাযোগ মন্ত্রনালয় সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি উত্তর জনপদের ও সিরাজগন্জ- পাবনাবাসীর কিংবদন্তী
    নেতা ছিলেন।
    ৪)– এ এইচ এম কামারুজ্জামান- মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ত্রান ও পুর্নবাসন এবং কৃষিমন্ত্রী
    ছিলেন। ১৯৭৪ সালে আওয়ামীলীগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলন,মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। রাজশাহীর এবং উত্তরজনপদের আরেক জন কিংবদন্তী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ