প্রতিনিধি ১১ নভেম্বর ২০২২ , ৫:১১:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু-আলাইহি-ওয়াসাল্লাম) বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর “অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ” করো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ) রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু-আলাইহি-ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে।
তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম ফিরানো পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে।*আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝো’। ‘অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও’।
(সুরা জুমআ: ৯ ও ১০)
রাসুল (সাল্লাল্লাহু-আলাইহি-ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, জুমার দিনে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে যে, তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর নিকট যে দোয়া করবে আল্লাহ তা কবুল করেন। (আবু দাউদ)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (ইচ্ছা করে) অলসতাবশত তিনটি জুমআ ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়ে মোহর মেরে দেন।’(মুসলিম)
হাদিসের আলোকে জুমার দিনের আমল সমূহঃ
১. পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে চুল ও নখ কাটা।
২. মিস্ওয়াক করা।
৩. জুমা’র দিনে উত্তমরূপে গোসল করা।
৪. জুমা’র নামাজের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৫. গায়ে তেল ব্যবহার করা।
৬. উত্তম পোশাক পরিধান করে জুমা আদায় করা।
৭. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
৮. মুসুল্লীদের ডিঙিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া।
৯. মুসল্লিদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা।
১০. জুমা’র দিনে সূরা কাহাফ পড়া।
১১. এ দিন বেশি বেশি দোয়া করা।
১২. জুমা’র দিন ও রাতে বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা।
*আল্লাহু রব্বুল-আলামিন আমাদের সকলকে জুমার দিনের আমল ও করণীয় সমূহকে যথাযথ ভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন ওয়ামা-তাওফিকি-ইল্লা-বিল্লাহ।
ইসলামি কলামিষ্ট:
মাওলানা কামরুল ইসলাম শাকের