প্রতিনিধি ৯ অক্টোবর ২০২০ , ৫:১৯:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মো: রাশেদুল ইসলাম(রাশেদ)খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে হেল্প বহুমুখি সমবায় সমিতির এক কর্মি গ্রাহকদের প্রায় সাড়ে ২২ লাখ টাকা নিয়ে স্বপরিবারে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসি সুত্র জানায়,জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারে হেল্প বহুমুখি সমবায় সমিতি নামে একটি ক্ষুদ্র ঋণদান প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে উথলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের হতদরিদ্র নারী-পুরুষ সংগঠিত করে ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ওই এনজিও প্রতিষ্ঠানে মাঠ কর্মি হিসাবে নিয়োগ পান উথলী মালোপাড়ার শ্রী সুকেন কুমার রাজবংশীর স্ত্রী শ্রীমতি মিতা রানী রাজবংশী(৩০)। মিতা রানী ২০১৩ সালে মাঠকর্মি হিসাবে কাজ করা কালে ২২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা কর্তৃপক্ষের অজান্তে আত্মসাত করেন।
হেল্প বহুমুখি সমবায় সমিতির নির্বাহী পরিচালক ইমরান হোসেন বলেন,মিতা রানী আমাদের প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করা কালে জানতে পারি গ্রাহকদের ২২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা গোপনে আত্মসাত। করেছেন। আমরা টাকা উদ্ধার করতে তার সাথে আলোচনাও করি। কিন্তু হঠাৎ বুধবার রাতে মিতা রানী তার স্বামী-শ্বশুর-শ্বাশুড়ী ও তাদের একমাত্র কন্যাসহ উধাও হয়ে যায়। তাদের বসতভিটার জমি প্রতিবেশী রমজান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের নিকট বিক্রি করে দিয়েছে। তার মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে মিতা রানীকে খোঁজাখুজি অব্যাহত আছে।
এদিকে মিতা রানীর মোবাইল
০১৯০৭-৭৩৮০৬৯ এবং ০১৭২৯-৬৬২৯৩০ নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে সংযোগটি বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।
উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনার কথা আমি শুনেছি। তবে মিতা রানী অনেক পাওয়ার ফুল মানুষ। তার কাছে আমরা অতি নগন্য মানুষ। তার ক্ষমতার কাছে এলাকাবাসিরা অসহায় ছিল।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে