• ধর্ম

    জিলহজ্ব এর প্রথম দশকের ফজিলত

      প্রতিনিধি ৩০ জুন ২০২২ , ৩:০৮:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    পৃথিবীতে চলমান সময়কে আল্লাহ তাআলাই সৃষ্টি করেছেন এবং বিভিন্নভাবে সুবিন্যস্ত করেছেন৷ বছর, মাস, দিন, রাত তিনিই সাজিয়েছেন৷ আর তিনিই আপন হেকমতে বছরের কিছু মাস, মাসের কিছুদিন এবং দিনের কিছু অংশকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন৷ কুরআনে কারীমের ভাষ্যমতে বছরের চারটি মাস অধিক সম্মানিত৷ আল্লাহ তা’আলা বলেন ان عده الشهور عند الله اثنا عشر شهرا في كتاب الله يوم خلق السماوات والارض منها اربعه حرم
    অর্থ: আল্লাহ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন সেদিন থেকেই মাসসমূহের গণনা আল্লাহ তা’আলার নিকট তার বিধান মতে বারটি৷ তার মধ্যে চারটি মাস অধিক সম্মানিত৷ (১) রজব (২) জিলকদ ( ৩) জিলহজ ( ৪) মুহাররম৷ ( সূরা তওবা ৩৬)

    এই চারটি মাসের অন্যতম হল জিলহজ মাস৷ আর এ মাসের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও ফজিলত পূর্ণ সময় হল প্রথম দশক৷ জিলহজ মাসের প্রথম দশকের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য অপরিসীম৷ কেননা এই দশ রাতের শপথ করে আল্লাহ কুরআনে বলেছেন والفجر وليال عشر শপথ ফজরের, শপথ দশ রাতের৷ ( সূরা ফজর ১-২) এই দশ রাত দ্বারা জিলহজের প্রথম দশ রাতকেই বুঝানো হয়েছে৷

    এই দশ দিনের নেক আমল আল্লাহ তা’আলার নিকট অধিক প্রিয়৷ হাদীছ শরীফে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন عن ابي هريره رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مامن ايام احب الى الله ان يتعبد له فيها من عشر ذي الحجه يعدل صيام كل يوم منها بصيام سنه وقيام كل ليلة منها بقيام ليله القدر
    অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-আল্লাহর নিকট জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের ইবাদত অপেক্ষা অধিক পছন্দনীয় আর কোন এবাদত নেই৷ উহার প্রতিদিনের রোজা (9 তারিখ পর্যন্ত) পূর্ন এক বছরের রোজার সওয়াব আর প্রতি রাতের ইবাদত শবে কদরের রাতের ইবাদত এর সমান৷ (তিরমিযি)

    হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ما من ايام العمل الصالح فيهن احب الى الله من هذه الايام العشره قالوا يا رسول الله ولا الجهاد في سبيل الله قال ولا الجهاد في سبيل الله الا رجل خرج بنفسه وماله فلم يرجع من ذلك بشيء
    অর্থাৎ জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের নেক আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন জিহাদ ওকি অধিক প্রিয় নয়? রাসুল বললেন না জিহাদও নয়৷ তবে যারা জিহাদের ময়দানে নিজের জান মাল দিয়ে লড়ছে এখনো ফিরে আসেনি তাদের বিষয়টা ভিন্ন৷( বুখারী শরীফ পৃষ্ঠা ১৩৩)

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ