• রাজশাহী বিভাগ

    জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করায় সলঙ্গার নাইমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ!

      প্রতিনিধি ১৮ জুন ২০২২ , ৩:৫১:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ মিজানুর রহমান-জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ:

    দায়িত্বের প্রতি অবহেলাসহ জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলাধীন সলঙ্গা ইউনিয়নের নাইমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত)তাহমিনা পারভীনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে প্রাথমিকভাবে শোকজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এছাড়াও দায় এড়াতে পারেননা এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় ধাপে ওই বিদ্যালয়ের সকল সহকারী শিক্ষক ও দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীকেও শোকজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    এতে নির্দিষ্ট কার্যদিবসের মধ্যে তারা শোকজের সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে বিষয়টি গতকাল শনিবার (১৮ জুন ২০২২)নিশ্চিত করেছেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(এটিইও) ও জগজীবনপুর কাস্টার এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন,জাতীয় পতার প্রতি অবহেলা, অবজ্ঞা ও অসম্মান করার বিষয়টি খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। ইতোমধ্যেই প্রধান শিক্ষককে শোকজ করার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয় আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    কিন্তু বড়হর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহনের কাজে আমি ব্যস্ত থাকার কারণে যথাসময়ে শোকজের চিঠি প্রেরণ করতে পারিনি তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয় কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে আমি চিঠি প্রস্তুুত করছি। দু’এক দিনের মধ্যেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তাহমিনা পারভীন শোকজের চিঠি পেয়ে যাবেন। এমনকি এঘটনায় সকল সহকারী শিক্ষক ও দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীকেও শোকজ করা হবে,এতে তারা এসংক্রান্ত বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    উল্লেখ্যঃ গত সোমবার (১৩ জুন ২০২২) উঠানো জাতীয় পতাকাটি স্কুল ছুটির পর আর নামানো হয়নি! ফলে সারারাত উড়েছে পতাকাটি। মঙ্গলবার (১৪ জুন) ভোরে এটি স্থানীয়দের চোঁখে পড়ে কিন্তু স্কুলের (ভারপ্রাপ্ত)প্রধান শিক্ষক তাহমিনা পারভীনের বাড়ী স্কুল সংলগ্ন উত্তর পাশে অথচ অবহেলার এবিষয়টি তার চোঁখেও পড়েনি। স্থানীয়রা এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) তাহমিনা পারভীনসহ সকল সহকারী শিক্ষক ও দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী আলা উদ্দিনের চরম অবহেলাকেই দায়ী করছেন। স্থানীয়দের দাবি,স্কুলের সকল কাজে সহযোগিতা করাসহ রাতের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারিভাবে যে,

    নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী নিয়োগ দেওয়া রয়েছে এসংক্রান্ত বিষয়ে তার চরম অবহেলা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ নৈশ প্রহরী আলা উদ্দিন সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন ঠিকই কিন্তু তিনি রাতে স্কুল পাহারায় না থেকে রাতে ঘুমান বাড়ীতে। এদিকে কর্মক্ষেত্রে ফাঁকি ও দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানলেও তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেননি। এদিকে দায়িত্বে অবহেলাসহ জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করায়
    স্থানীয়রা স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তাহমিনা পারভীনসহ সকল সহকারী শিক্ষক ও দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক শাস্তির দাবি জানান। সে মোতাবেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে প্রাথমিকভাবে শোকজের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ