প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:১৯:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
এইচ.এম আল-আমিন-লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, জনগণের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হলে সরকারকে চরম খেসারত দিতে হবে। জনগণের সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন সরকারই টিকেনি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারও টিকবে না। কাজেই পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, এতে সকলেরই কল্যাণ হবে।
আজ শনিবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা সভাপতি আলহাজ্ব অনারারী ক্যাপ্টেন (অব:) ইব্রাহিম এর সভাপতিত্বে প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান এর সঞ্চালনায় কমলনগর ‘তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নুরুল বশর আজিজি, সাবেক জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাও: তৈয়ব সুলতানি, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের জেলা সভাপতি মাও: আবদুর রহিম, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র পদপ্রার্থী মাও: জহির উদ্দিন, জেলা সহ-সভাপতি মাও: দেলাওয়ার হোসাইন, মাও: মহিউদ্দিনসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
পীর সাহেব চরমোনাই দেশের মানবধিকারের অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, আজকে দেখেন যে, যখন মানুষ রাস্তায় নামে তখন খবর পাওয়া যায় ওমুককে পাওয়া যায় না গুম হয়ে গেছে। এরকম শত শত মানুষ বাংলাদেশে গুম হয়ে গেলো। লাশটা পর্যন্ত পাওয়া গেলো না। কত মায়ের কোল খালি হলো, কত স্ত্রী বিধবা হলো, সন্তানেরা এতিম হলো। আজকে ঘরে থাকলে ও মানুষ খুন হচ্ছে।
মাও: গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, সরকারেরে পাপের প্রায়চিত্ত শোধ করার সময় হয়ে গেছে, দেশ ও জাতীর সাথে প্রতারণার কুফল তাকে ভোগ করতেই হবে। ভোটের সংস্কৃতি নির্মূল, উন্নয়নের নামে দেশের সম্পদ লুট করা, সন্ত্রাস ও অর্থ পাচার করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার কারণে এই সরকার এখন গণধিকৃত ও কোনঠাষা হয়ে পড়েছে। সরকারের লোকজনের বেফাঁস কথাবার্তা শুনেই বোঝা যায় দেশি বিদেশী চাপে তারা বেসামাল হয়ে গেছে।
আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, সরকারের সময় ফুরিয়ে গেছে কিন্তু এখনো তাদের শুভবুদ্দির উদয় হয়নি। ভাল চাইলে জাতীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে বিদায় হন, নচেৎ টেনেহিচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে।
উক্ত জনসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ, লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার জয়েন্ট সেক্রেটারী মাও: নোমান সিরাজী, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হাঃ লোকমান হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: ইমারান হোসাইন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি ডা. নাছির আহমদ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মাও: মোখলেছুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সাধারন সম্পাদক মুহাঃ ইউনুস।