• বরিশাল বিভাগ

    ছাত্রিদেরকে ব্যক্তিগত কাজ করাচ্ছে শিক্ষিকারা

      প্রতিনিধি ৩ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:০৭:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ আবুবকর মিল্টন-পটুয়াখালী:

    পটুয়াখালীর গলাচিপার ৭৭ নং মধ্য ডাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষকরা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে রোববার দুপুর ১২ টার দিকে শাক তুলতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে তিন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

    শিক্ষিকারা হলেন, প্রিয়াঙ্কা, শম্পা, ও মাধবী। সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, জান্নাতুল, রাবেয়া, সহ তিনজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে করা রোদের মধ্যে তুলতে বললে ঐ তিন শিক্ষার্থী মাঠে দিনভর শাক তোলায় ব‍্যাস্ত হয়ে পরে, তারা কোন ক্লাসে অংশগ্রহণ করেনি।

    ওই শিক্ষার্থীরা আরো জানায়,মাঝেমধ্যে ম্যামেরা আমাদেরকে দিয়ে শাক তুলিয়ে অনেকগুলো করে তিন জনে ভাগ করে বাড়িতে নিয়ে যায় । পূর্বের ন‍্যায় আজ করা রৌদ্রের মধ্যে শাক তুলতে বললে, বেশি রোদ দেখে আমরা ম‍্যাডাম কে না বলি, ম্যামেরা আমাদের উপরে খুব রাগান্বিত হয়, সেজন্য ক্লাস বাদ দিয়ে আমরা তিনজন মিলে শাক তুলি।

    তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আরো জানা যায় যে, ওই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দিয়ে আয়ার কাজটি পর্যন্ত করিয়ে থাকেন। ঘর ঝাড়ু দেওয়া টয়লেট পুরস্কার সহ মাঠে বন পরিষ্কার সহ আরো বিভিন্ন রকম কাজ করিয়া থাকেন। এমনকি স্কুল আওয়ারে শিক্ষিকারা ছাত্রীদেরকে দিয়ে মাথার উকুন পরিষ্কার করে থাকেন এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিয়ে নেটে চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত থাকে।

    এ বিষয়ে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য মিসেস গাজী সালমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ আমার কাছে স্কুলের ছেলে মেয়ের অভিভাবকরা অনেকবার অভিযোগ দিয়েছে এবং আমি স্কুলের শিক্ষিকাদেরকে বারবার অবহিত করলেও তারা আমার কথা তেমন একটা গুরুত্ব দেননি। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দিয়ে এ রকমের পৈশাচিক নির্যাতন কাজগুলো প্রায়ই করিয়ে থাকেন।

    এ বিষয়ে স্থানীয় এক মহিলা আখিনুর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সমস্ত ঘটনা আমরা প্রায় সময়ই দেখে থাকি। আমরা গরীব মানুষ তাই কোন কিছু বলার সাহস পাই না l

    এ বিষয়ে আরো জানতে চাইলে নিলুফা বেগম বলেন, ম্যাডামেরা ঠিকমতো ক্লাসে আসে না আসলেও তারা লাইব্রেরিতে বসে আড্ডা মারে এবং বিভিন্ন খোশ গল্পে লিপ্ত থাকে এটা দৈনন্দিন চিত্র।

    স্কুলের পাশের বাড়ির জাহিদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
    স্কুলের প্রধান শিক্ষক তিনি খুব ভালো মানুষ যে মহিলা শিক্ষিকারা রয়েছেন তারা সর্বসময় ক্লাসে এসে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এবং বাচ্চাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন কাজকর্ম করিয়ে থাকেন। এমনকি শাঁক তোল এটাতো অহরহরি করিয়ে থাকেন এই শিক্ষিকারা।

    এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার চাকরির বয়স আর মাত্র এক বছর বাকি আছে।আমি এক বছর পরে রিটায়েড করব কিন্তু আমার পাঁচদিন ট্রেনিং থাকার কারণে আমি বাহিরে ছিলাম যার কারণে হয়তো আমার অনুপস্থিততে যে কাজটি হয়েছে । এটা একেবারেই দুঃখজনক এবং ন্যাকার জন ঘটনা আমি অত্যন্ত দুঃখিত বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখব।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ