প্রতিনিধি ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১০:৪৩:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মো, রাশেদুল ইসলাম( রাশেদ) চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি,
জনসেবামূলক কার্যক্রমঃ
চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম মহোদয় গত ০৯.০৯.২০১৯ খ্রিঃ তারিখ চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রনে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে শতভাগ লকডাউন কার্যকর করেন। করোনার প্রার্দুভবের জন্য খেঁটে খাওয়া কর্মজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয় অনুধাবন করে নিজ উদ্যোগে লকডাউন বিদ্যমান থাকাকালীন সময়ে ৮২০৫ জন কর্মহীন গরীবদের বাড়ীতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে পুলিশ সুপার মহোদয়ের যোগ্য নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ অত্যন্ত পেশাদারীত্বের সাথে শতভাগ আন্তরিকতার সহিত লকডাউন কর্মসূচি পরিচালনা, বিদেশ ও অন্যান্য জেলা শহর থেকে আগত ২৮৩৮ জন হোমকোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, জনগণকে সচেতন করতে স্বাস্থ্যবিধি সম্বলিত ১৮ হাজার হ্যান্ডবিল বিতরণ, ১৩ বার মাইকিং, করোনা সংক্রমন হওয়ার পদ্ধতি ও প্রতিরোধে বিষয়ে ফেস্টুন, ব্যানার প্রদর্শণ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা হ্যান্ডবিল আকারে প্রচার, অসচেতন কর্মজীবি জনসাধারণের মধ্যে ফ্রি ৪০ হাজার মাস্ক বিতরণ, পুলিশ সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি ও শরীরে এন্ট্রিবডি তৈরী করতে পুষ্টিকর খাদ্য ও ঔষধ প্রদান, সরকার ঘোষিত রেড জোন এলাকার প্রবেশ ও বাহির পথে লকডাউন এবং উক্ত এলাকার ম্যাপ ও ব্যানার প্রদর্শন, করোনা উপর্সগ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী ০৩জন দাফনে সরাসরি সহায়তা ও আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনসহ পরিস্থিতি বিবেচনায় বহুমুখি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও করোনা মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত সকল নির্দেশনা শতভাগ পালনসহ করোনা আক্রান্তদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মৃতদের দাফনকার্য সম্পন্ন করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর।
জনবান্ধব ও গণমুখী ও মানুষের নিকট গ্রহনযোগ্য পুলিশিং ব্যবস্থার প্রচলন করার জন্য গত ০৭.০২.২০২০ খ্রিঃ তারিখে জেএসসিতে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত প্রায় ৭০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনা, গাছের চারা বিতরণ, শিক্ষা সামগ্রী উপহার, ক্রেষ্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান এবং তাদের মানসপটে পুলিশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা ডিলেট করতঃ পুলিশিং কাজের বাস্তবতা ও দেশ প্রেমের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করা হয়।
জনবান্ধব, গণমুখী ও মানুষের নিকট গ্রহনযোগ্য পুলিশিং ব্যবস্থা কার্যকর করার লক্ষ্যে ৩৮ বিসিএস সুপারিশপ্রাপ্ত ২৮ জন কৃতী শিক্ষার্থীদের বাড়ীতে “শুভেচ্ছা উপহার” হিসেবে মিষ্টি ও ফুল প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা গ্রহণরত রোগীদের সুপীয় পানির সংকট থাকায় ৭৪৪ বোতল বিশুদ্ধ পানি প্রদান করা হয়েছে। পঙ্গুত্ববরণকারী একজন পুরুষ ও একজন নারীকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।
♦উদ্ধার সংক্রান্তঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত মাদক নির্মূলে চলমান অভিযান পরিচালনায় মাদক উদ্ধার সংক্রান্তে ৭১২ টি মামলা রুজু করাসহ ৯০৪ জন মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখিত মামলার ঘটনায় ১। হোরোইন-৪৮ গ্রাম, ০৬ পুরিয়া, ২। গাঁজা-১৬১ কেজি এবং ৩৩টি গাঁজার গাছ, ৩। প্যাথেডিন ইনঃ-১৫৭৯টি, ৪। বাংলা মদঃ ৮০৪ লিটার এবং চোলাই মদঃ ৪২৯.৫ লিটার ও ১২ বোতল, দেশীয় মদঃ ১১৪ লিটার ১৮ বোতল, বিদেশী মদঃ ৩৮ লিটার, ৫। ফেন্সিডিল ঃ ১৮০৬৭ বোতল এবং তরল ৩ লিটার, ৬। ইয়াবা ট্যাবঃ ৪৬৮৮ পিচ, ৭। তাঁড়ি ঃ ৮০ লিটার ৮। বেঙ্গল টাইগার মদঃ ২৩ লিটার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চোরাচালানীর মালামাল উদ্ধারের ক্ষেত্রে ২টি মামলায় ভারতীয় ক্যাপসুল ৩৪২০ পিচ, ভারতীয় থ্রিপিচ-২৩ টি, শাল-১১ টি, শাড়ী-১৩২ পিচ, লেহেঙ্গা-৮ পিচ, বেডসীট-৪ পিচ, স্বর্ণ ২৩ ভরি উদ্ধার করা হয়। উল্লেখিত ঘটনায় ১টি মামলা রুজু করা হয় এবং ২জন আসামী গ্রেফতার করা হয়।
অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে পিস্তল-০১টি, ওয়ান শুটারগান-১টি, গুলি-৫রাউন্ড, ছোড়া-০২টি, বোমা সাদৃশ্য বস্তুু-০২টি, গান পাউডার-৫০০ গ্রাম, হাসুয়া-১টি, রামদা-০২টি, তলোয়ার-১টি, লোহার দা-১টি, তারকাটার কাচি-২টি, ককটেল-০২টি, স্টিলের চাপাতি-১টি, কাঠের হাতলযুক্ত ধারালো ছোড়া-৩টি সহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উক্ত ঘটনায় ৬টি মামলা রুজু হয় এবং ৯ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়।
♦ওয়ারেন্ট তামিলঃ
ওয়ারেন্ট তামিলের ক্ষেত্রে জিআর ও সিআর ২৭৪১ টি এবং সাজাপ্রাপ্ত ২১৯টি পরোয়ানা তামিল করা হয়। নিয়মিত মামলায় ১৬৫১ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও ১৩৩৪টি মামলা তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। মোটরযান আইনে মোট ৪১৪১টি মামলা দায়ের করা হয়ছে এবং ১৪,৬২,৭৫৫ টাকা জরিমান আদায় করা হয়।
♦চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটনঃ
১। জীবননগর থানার মামলা নং-১৫, তারিখঃ ২৭.০৬.২০২০খ্রিঃ, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড মামলাটিতে নগদ ১,৫৩,৬০০/-স্বর্ণ ও রৌপ্যের অলংকার ১,০১০০০/- মোবাইল সেট-০৫টি দাম ২৯,২০০/-সহ সর্বমোট ২,৮৩,৮০০/- টাকার মালামাল লুণ্ঠিত হয়। আমার সরাসরি নির্দেশনা ও সুপারভিশনের ফলে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িত আসামি ১। মোঃ খবির সরদার, থানা-কালকিনি, জেলা-মাদারীপুর, ২। মোঃ জনি শেখ’কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ৩,০০০/- উদ্ধার করা হয় এবং তারা দুজনই তাদের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
২। আলমডাঙ্গা থানার মামলা নং-১৩, তারিখঃ ২৩.০২.২০২০খ্রিঃ, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড মামলাটিতে নগদ ৩,০৫,৫০০/- টাকা লুণ্ঠিত হয়। আমার সরাসরি নির্দেশনা ও সুপারভিশনের ফলে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িত আসামি ১। রতন’কে গ্রেফতার করা হয়। তিনি তার দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
৩। আলমডাঙ্গা থানার মামলা নং-৪, তারিখঃ ০৩.০৩.২০২০খ্রিঃ, ধারা-৩৯২ পেনাল কোড মামলাটিতে নগদ ২০২,০০০/- টাকা লুণ্ঠিত হয়। আমার সরাসরি নির্দেশনা ও সুপারভিশনের ফলে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িত আসামি ১। রতন’