• আইন ও আদালত

    ঘুষ ছাড়া কাজ না করার অভিযোগ আলগী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

      প্রতিনিধি ১৮ আগস্ট ২০২৪ , ৫:০৪:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    এইচ.এম আল-আমিন-স্টাফ রিপোর্টার:

    ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির সীমাহীন অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো.আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে ঘুষ এবং দালাল ছাড়া কোনো কাজ হয় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, চরআলগী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকে ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু করেছেন। বাংলাদেশ সরকার ভূমির জমা খারিজের ফি ১১৭০ টাকা নির্ধারণ করলেও তিনি ৬-৭ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন। আর কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে তিনি পাঁচগুণ পর্যন্ত টাকা আদায় করেন।

    চূড়ান্ত ডিএস খতিয়ান আসার পরও দাগে সামান্য ভুল থাকলেও জমির মালিকদের কাছ থেকে নিজে এবং দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন আব্দুস সাত্তার। কেউ টাকা না দিলে তিনি কোনো কাজই করেন না এবং কাগজপত্র আলমারিতে তালাবদ্ধ করে রাখেন। খাজনার চেকের জন্য তিনি কয়েকগুন টাকা নিয়ে থাকেন।

    ভিপি জমির নামজারির জন্য তিনি মোটা অংকের টাকা দাবী করেন মো.আব্দুস সাত্তার। এছাড়াও ১৫০ ধারা ও ১৪৫ ধারায় আদালতে দায়েরকৃত মামলার রিপোর্ট বাবদ তিনি ইচ্ছামতো টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না চাইলে বিপক্ষে রিপোর্ট দেওয়ার হুমকি দেন। এছাড়া বাজার পেরিফেরি করতে এবং পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইলে তারা গোপনে নায়েবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং নায়েব মোটা অংকের টাকা নিয়ে বাজারের জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ করে দেন।

    রামগতি উপজেলার চরআলগী গ্রামের আবুল কালাম বলেন, ‘গত ১৬ নভেম্বর আমি জমির খাজনা দিতে গেলে আমার কাছে অনেক টাকা দাবি করা হয়। পরে আমি অনেক আকুতি মিনতি করলে তিনি আমার কাছ থেকে ২হাজার ৯০০ টাকা গ্রহণ করেন এবং দুটি রশিদ প্রদান করেন। একটা রশিদে মোট আদায় লেখা ছিল ৬৬৪ টাকা এবং অন্য রশিদে লেখা ছিল ১৪৬৫ টাকা। অর্থাৎ ২১২৯ টাকার রশিদ দিয়ে মো.আব্দুস সাত্তার আমার কাছ থেকে নিয়েছেন ২৯০০ টাকা।

    নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে একজন বলেন ‘আমি খাজনা কাটতে গেলে তিনি আমার কাছে ২ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি কম টাকা দিতে চাইলে তিনি আমাকে কয়েকদিন ঘোরান। তারপর বলেন, আমি এতো পরিশ্রম করছি, তাছাড়া অনলাইনেরও খরচ আছে। ২ হাজার টাকা না দিলে হবে না। তারপর আমি এক মাধ্যমে কথা বলে ১০১০ টাকা তাকে দেই। তখন তিনি আমাকে ৯০৬ টাকার একটি রশিদ দেন। উনি এখানে যোগদান করার পর থেকে দুর্নীতি করে চলেছেন। তার কারণে আমরা অতিষ্ঠ। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে’ চরআলগী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো.আব্দুস সাত্তারকে একাধিক ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ