প্রতিনিধি ২১ আগস্ট ২০২০ , ১০:০৭:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মো.তুহিন ফয়েজঃ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনি গ্রামের মরহুম আতিকের রুহের মাগফেরাত কামনায় মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যােগে মিলাদ মাহফিল দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷
২১ আগষ্ট শুক্রবার বিকেলে উত্তর পাচানী জামি’আ আরাবিয়া কাসেমুল উলূম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মোহনপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক প্রধানের সভাপতিত্বে ও মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয় এর সঞ্চালনায় দোয়া ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট শিল্পপতি ,সমাজসেবক ও আওয়ামীলীগ নেতা কাজী মিজানুর রহমান,
তিনি বলেন- ১৬ বছর আগে এই দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের আর্তনাদ আর কাতর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় এক বিভীষিকা। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে পড়ে ওই হামলায়। আজ সেই ২১ আগস্ট, নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন।
২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মারা যান আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী।
এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে আজও পঙ্গুত্ববরণ করে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। ঘাতক চক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।
দেশ ও গণতন্ত্র বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ, সচেতন ও সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান কাজী মিজানুর রহমান ৷
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রাধেশ্যাম শাহা বাবু চান্দু,থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরিফ, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির হাওলাদার,শ্রমিকলীগের সভাপতি হেলাল সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা কাজী ফজলুল কাদের জীবৱ,যুবলীগ নেতা কাজী হাবিবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য বোরহান উদ্দিন ডালিম প্রমুখ৷
আলোচনা শেষে মরহুম আতিকের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয় ৷
এসময় উরস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা কাজী গোলাম হোসেন,মোহনপুর ইউপি যুবলীগের সহ- সভাপতি হুমায়ুন কবির,যুবলীগ নেতা নুরে আলম সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ৷
উল্লেখ্য, আতিকুর রহমান ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢালাই শ্রমিকের কাজ করতেন। শ্রমিক লীগের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি যোগদান করেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন তাকে জীবন দিতে হয়েছিল ঘাতকদের গ্রেনেড হামলায়।