প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২১ , ১:০৬:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাতে ভাজা দেশী মুড়ি, মেশিনের মুড়ির দাপটে আজ তা বিলুপ্তির পথে।
আধুনিকতার ছোয়া পড়েনী এমনটা বলা বাহীল্য গ্রাম বাংলার প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে শুরুকরে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে সবজায়গাতেই। তেমনিভাবে আধুনিক যান্ত্রিক ব্যবস্থায় মানুষের জীবনমানের অগ্রগতির পথে আজ প্রাচীন ঐতিহ্যের বিলুপ্ত প্রায় হাতে ভাজা দেশি মুড়ি। কালের পরিক্রমায় আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় বর্তমানে কারখানায় মুড়ি উৎপাদিত হওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার সুস্বাদু হাতে ভাজা দেশি মুড়ি।
তেমনিভাবে বেকার হয়ে পড়েছেন হাতে ভাজা মুড়ির ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রামের লোকজন।
পটুয়াখালী জেলায় কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন উপজেলার সহস্রাধিক পরিবার সারা বছর মুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। শীতের আগমন বার্তার আগেই গ্রামগুলোতে মানুষের ব্যস্ততা বেড়ে যেতো। স্থানীয় বাজার থেকে মুড়ির ধান সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করে তারা মুড়ি ভাজতেন নিজ নিজ বাড়ীতে ।পরিবারের সবাই ব্যস্ত থাকতেন এ কাজে।
দেখাযাচ্ছে, এখন আর বাড়িতে বাড়িতে মুড়ি ভাজা হয় না। কারণ মেশিনের মুড়ির দাম সস্তা থাকায় হাতে ভাজা মুড়ির বাজার এখন তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। ফলে তাদের অনেকেই পেশা পরিবর্তনে বাধ্য হয়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। অথচ কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্প।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখামেলে, পটুয়াখালী সদর উপজেলা আউলিয়াপুর গ্রামের ববিতা রানী সাহার সাথে মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, আগে আমরা নিজেরা মুড়ি ভাজতাম এবং ঘড়ের পুরুষ লোক ব্যাবসা করতেন কালের বিবর্তনে এখন আমরা মুড়ির ব্যাবসা করি না তবে এখন গ্রামের লোকজন আমাদের চাল দিয়ে যায় মুড়ি ভাজার জন্য সেই চাল থেকে আমরা মুড়ি ভেজে দেই তা থেকে কিছু টাকা আমাদের রোজগার হয় তাই দিয়ে কোন মতে টানা পড়েন সংসার চলে যায়। তবে সরকার যদি আমাদের দিকে একটু নজর দিন তা হলে হয়ত এ ঐতিহ্যবাহী হাতে ভাজা মুড়ির প্রচলনটা ধরে রাখা যেত,এমনটাই জানালেন তিনি।