• বরিশাল বিভাগ

    গলাচিপা সদর ইউঃ চেয়ারম্যান টুটু ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে অর্থ লোপাট

      প্রতিনিধি ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৭:২৪:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,,হেলাল আহম্মেদ-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ৩ নং গলাচিপা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ২০২১-২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সরকারি ভিজিডি, মৎস ভিজিএফ টিআর কাবিখা,কাবিখা ও জেলেদের বরাদ্দের চাল এবং গ্রামীন জনপদের রাস্তার উন্নয়ন মূলক কাজ এবং অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী হতে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে গলাচিপা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো, জাহাঙ্গীর হোসেন টুটুু ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে.। সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে দেখামেলে, ২৫টি প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট অনিয়ম উল্লেখ করে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন ইউনিয়নটির ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোঃ ইদ্রিস মিয়া সহ একাধিক ব্যক্তিরা।

    জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতে সরেজমিন প্রকল্প এলাকায় গেলে উল্লেখিত অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দের ভিজিডি টিআর কাবিখা কাবিটা সহ অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি এবং মৎস ভিজিএফ প্রকল্পের সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ এই দুই অর্থ বছরের মোট ২৫টি প্রকল্পের ভিন্ন ভিন্ন নাম দেখিয়ে ৭০ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫ শত ৯৫ টাকা আত্মসাৎ এর লিখিত অভিযোগ আনা হয়েছে।

    যার মধ্যে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭নং ওয়ার্ড পক্ষিয়া ওয়াপদা থেকে ফরেস্ট অফিস পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের টি,আর বরাদ্দ ১ লক্ষ টাকা। ২নং ওয়ার্ড গোরাবালা শাহজাহান হাওলাদার বাড়ি থেকে নূর মোহাম্মদ মৃধার বাধ হইয়া সামুদাবাদ রাস্তার পূনঃ নির্মান অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসস্থান কর্মসূচি ২৫ জন লেবার ৪০ দিন ৪ শত টাকা করে ৪ চার লক্ষ টাকা। ৩নং ওয়ার্ড উঃ চরখালী সুভাষ সরকার বাড়ী হইতে শাহজাহান মৃধা বাড়ির রাস্তার পুনঃ নির্মাণেঅতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসস্থান কর্মসূচির জন ২৫ জন লেভার ৪০ দিন ৪ চারশত টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা।

    ৭নং ওয়ার্ড পক্ষিয়া মাতুব্বর বাড়ি সংলগ্ন ওয়াপদা হইতে রফিক হাওলাদার বাড়ির রাস্তা পুন: নির্মাণ ও হাবিব মাতৃব্বর এর বাড়ি হইতে জালাল মৃধার বাড়ি পর্যন্ত নজুয়ার খালের কচুরি পানা পরিষ্কারের জন্য।অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসস্থান কর্মসূচি ৩৭ জন লেভার ৪০ দিন ৪ শত টাকা করে ৫ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা। ৫নং ওয়ার্ড বোয়ালিয়া মাটির কিল্লা সংলগ্ন সামুদা বাদ রাস্তা হইতে তপনশীলের বাড়ির রাস্তা পুনঃনির্মানে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসস্থান কর্মসূচি ২৫ জন লেভার ৪০ দিন ৪ শত টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা। ২০২১-২০২২ চক্রের ভিজিডি ২৪০ জন সুবিধা ভোগীর চাল ২২ সালের ডিসেম্বরের ৬.৪২০ টন চালের অনুকূলে ১০ লক্ষ ২৭ হাজার ২ শত টাকা সুবিধাভোগীদের ফেরৎ দেয়া হয়নি।

    এদিকে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে অনিয়মের অভিযোগ সূত্রে দেখা যায়, ৩নং ওয়ার্ড এনসান মিয়ার বাড়ির সামনে গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য ভুমিহস্থান্তকর ১% এর ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ সহ ৮নং ওয়ার্ড বারেক সিকদার বাড়ি থেকে বোয়ালিয়া তপন শীলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনঃ নির্মানে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসস্থান কর্মসূচি জন্য ৩৯ জন লেবারের ৪০ দিন ৪ টাকা করে ৬ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। ৮নং ওয়ার্ড বোয়ালিয়া মাটির টিলা থেকে জ্ঞানেন্দ্র শীলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের ভুমিহস্থান্তকর ১% এর ১ লক্ষ) টাকা। ৮নং ওয়ার্ড সিকদার বাড়ি থেকে আমল হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য টি.আর ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ১নং ওয়ার্ড কালিকাপুর মোহাম্মদ মিয়ার বাড়ি হইতে রাজা মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত জন্য অতি দরিদ্রদের কর্মসস্থান কর্মসূচির জন্য ২৫ জন লেবারের ৪০ দিন ৪ শত টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা।

    ৩নং ওয়ার্ড উওর চরখালী জেলাবোর্ড রাস্তা থেকে জহিরের বাড়ি পর্যন্ত ও ভেরিবাধ থেকে নদীর চর পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির জন্য ২৫ জন লেবার ৪০ দিন ৪শত টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা। ৯নং ওয়ার্ড বোয়ালিয়া গিয়াস মোল্লার বাড়ি হইতে ট্রলারঘাট পর্যন্ত মাটির রাস্তা মেরামতে অতি দরিদ্রদের কর্মসস্থান কর্মসূচির জন্য ২৫ জন লেবার ৪০ দিন ৪শত টাকা করে। মোট ৪ লক্ষ টাকা। গলাচিপা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া ওয়াপদা হইতে খেয়াঘাট পর্যন্ত মাটির রাস্তা মেরামতের ইজারার ৩ লক্ষ টাকা। গলাচিপা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বাজারে টলঘর ও পক্ষিরা বাজারের টলঘর সহ হাসিল ঘর মেরামতের ইজারার ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ৩৯৬ টাকা।

    ৯ নং ওয়ার্ড চরকারফার্মা খেয়াঘাট হইতে টিলা পর্যন্ত রাস্তা নির্মানে অতি দরিদ্রদের কর্মসস্থান কর্মসূচির জন্য ২৫ জন লেবার ৪০ দিন ৪ শত টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা।পক্ষিয়া বাজার হইতে মঙ্গলবাড়িয়া বাজার পর্যন্ত রাস্তা খোয়া দায়া সংস্কারের হাটবাজার ইজারার ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। বোয়ালিয়া বাজারে সিসি রাস্তা সংস্কারের হাটবাজার ইজারার ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ৩নং ওয়ার্ড রতনদী নূর মোহাম্মদ হাওলাদার বাড়ির সামনের রাস্তায় কালভাট নির্মাণে ভূমি হস্তান্তর কর-১% এর ৬০ হাজার টাকা। উঃ চরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ ভরাটের কাবিখা ৩.৩৫০ টন চালের অনুকূলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। একই অর্থ বছরে

    উঃ চরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে কাবিখা বরাদ্দ দেখিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। ৪নং ওয়ার্ড উঃ চরখালী জেলা পরিষদ রাস্তা হইতে ভিটার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুন্য নির্মাণে কাবিখা বরাদ্দের ২ লক্ষ টাকা।

    ৪নং ওয়ার্ড উঃ চরখালী জেলা পরিষদ রাজা হইতে ভিটার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের ভূমি হস্তান্তর কর ১% এর ১ লক্ষ টাকা। উঃ চরখালী স্ল্যুুইস থেকে পক্ষিয়া বাজার পর্যন্ত রাখা মেরামতের টি.আর বরাদ্দের ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা সহ ২১৪২ জন জেলে প্রতি বছরে ৪ মাস ৪০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা থাকলেও এক তৃতীয়াংশ জেলে ও সঠিকভাবে চাল না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে

    এ বিষয় গলাচিপা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো,জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,কাজ কিছু করেছি কিছু করিনি। তবে এখন পর্যন্ত বিল সব পাইনি। দেখুন কাজ করলে ভূল ত্রুটি হবেই। তবে কিছু কিছু প্রকল্প আমি করিনি এবিষয়ে পিআইও ভাল যানেন। পখিয়া বাজারের টলঘড় ও হাছিল ঘড় এবং রাস্তা সলিং এর কোন কাজ হয়নি সরেজমিন অনুসন্ধানে সেটািই পাওয়া গেছে। তার উত্তরে চেয়ারম্যান জানান,কাজ করেছি কিনা তা আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে।

    উপকার ভোগী ২১৪২ জন জেলেদের চারমাসে
    ৪০ কেজী চাল দেয়ার কথা থাকলেও ১ তৃতীয় অংশ জেলেদের মাঝে চাল পৌছেছে। আপনারা সাংবাদিক, ভাই হিসেবে বলছি যারা অভিযোগ করেছে তারা কি জেলে এছাড়াও বিভিন্ন প্রশ্নের জনাবে তিনি বলেন ভাই আমাকেও সোজা করেন এবং উদ্ধতন যারা আছে তাদেরকেও সোজা করেন বলে জানান তিনি।

    এ ব্যপারে গলাচিপা উপজেলার পি,আই,ও খোকন চন্দ্র দাসকে তার অফিসিয়াল (০১৭০০৭১৭০৮৯) ব্যবহুত মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি। এছাড়াও তার অফিসে ২ বার অফিস টাইমে বসে থেকেও পাওয়া যায়নি তাই তার সাক্ষাৎ কার নেয়া সম্ভব হয়নি।
    উক্ত ঘটনার ব্যপারে গলাচিপা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল আলোকিত ৭১ সংবাদ কে জানান,ডিসির কাছে অভিযোগ গেলেও আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। তবে আপনারা সাংবাদিকরা যেহেতু সরেজমিনে গেছেন সেহেতু অনিয়ম হলে আর্থীক বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ