প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৫:৩১:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান পর্যায়ক্রমে তাদেরকে বহিষ্কার করেন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কল্যাণ কলস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১জন, লামনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১জন, মধ্য ধরান্দি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১জন, গুয়াবাড়িয়া এবি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১জন, কল্যাণ কলস বেগম রোকেয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১জন, মধ্য হরিদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১জন, খারিজ্জমা ইছাহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১জন ও ভুরিয়া বিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১জন রয়েছেন।
পরীক্ষার কেন্দ্র সূত্র জানা, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল রহমান কেন্দ্রে উপস্থিত হন। এ সময় কক্ষ পরিদর্শন শুরু করেন তিনি। পরে একের পর এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করতে থাকেন তিনি। এভাবে মোট ৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন তিনি।
এদের মধ্যে সাত পরীক্ষার্থী খাতায় রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া কিছুই লিখতে পারেননি। এছাড়া বাকি দু’জনের একজন দু’টি এবং অপরজন তিনটি উত্তরের বৃত্ত ভরাট করেছেন। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী এবং মধ্য হরিদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মোকসেদুল জানান, ‘সকালে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি ভিজে তাড়াহুড়ো করে শেষ সময়ে হলে ঢুকি। খাতা পাওয়ার পর দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক হয়ে সবকিছু ঠিক করে বসতে যাবো, তখনই এসে আমাকে এক্সপেল করেন তিনি।’
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমরা পরীক্ষায় কোনো অসদুপায় অবলম্বন করিনি। এমনকি খাতাতে লেখাই শুরু করিনি। এর আগেই আমাদের বহিষ্কার করা হয়। খাতা চেক করলেই দেখা যাবে আমরা কিছুই লিখিনি।’এ ব্যাপারে পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার ও খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুসরাত জাহান মনি জানান, ‘পরীক্ষা শুরুর ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই ৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তারা দেখাদেখি করছিল।
এ কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়। তবে ৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র একজন এমসিকিউ উত্তরপত্রের দু’টি ও অপরজন তিনটি উত্তর ভরাট করেছে। বাকি সাতজন শুধু রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ঘর পূরণ করেছে।’তিনি আরও জানান, ‘আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম যে দু’জন উত্তরপত্রে উত্তরের ঘর পূরণ করেছে তাদের বহিষ্কার করেন। কিন্তু তিনি সবাইকেই বহিষ্কার করেন।’এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল রহমান জানান, ‘বিভিন্ন কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
তাদের অনেকেই দেখাদেখি এবং প্রশ্ন এক্সচেঞ্জ করছিল। এ কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়।’ পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কেন বহিষ্কার প্রশ্নে তিনি জানান, ‘তারা খাতায় লিখেছে এবং সময় আরেকটু বেশি হবে।’এ বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’ এছাড়া গলাচিপা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় পাতাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।