• আইন ও আদালত

    কোলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুর্নীতি দুদকের তদন্ত।

      প্রতিনিধি ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ৭:২৫:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    এনামুল কবীর এনাম-জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ:

    নওগাঁ বদলগাছী উপজেলার ৫ নং কোলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নৌকার মাঝি মোঃ শাহিনুর ইসলাম (স্বপন) এর বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুনীতির বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী সাংবাদিক এবং কোলা ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি কর্তৃক চেয়ারম্যান, দৃর্নীতি দমন কমিশন, এর নিকট গত ০৮/৩/২০২১ এবং ১০/৩/২০২১ ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ এর ভিত্তিতে দুদক রাজশাহীর তিন সদস্য বিশিষ্ট এনফোর্সমেন্ট টিম প্রকল্পগুলি ১০ /১১/২০২১ ইং বুধবার তদন্ত করেন বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী এবং অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীর সুএে জানা গেছে।

    জানা যায় দুর্নীতি দমন কমিশন, রাজশাহী অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমিনের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি এনফোর্সমেন্ট টিম প্রকল্পগুলো তদন্ত করেন। অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী বলেন দুর্নীতি দমন কমিশন , রাজশাহীর উপ-পরিচালক শ্রী সুদ্বীপ চৌধুরী ০৯/১১/২০২১ ইং বৈকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকায় ০১৭২৩ ৯৮৯০৬৯ নম্বর মোবাইল ফোন থেকে তাকে বলেন ১০/১১/২০২১ ইং তারিখ বেলা ১১টা পর্যন্ত ঝাড়ঘরিয়া গ্রামের মরহুম অছিম উদ্দিন ঈদগাহ মাঠ ও অন্যান্য প্রকল্পগুলি তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন,

    সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকানী পরিচালক
    মোঃ আল আমিন এর নের্তৃতে তিন সদস্য বিশিষ্ট এনফোর্সমেন্ট টিম যাবে। উক্ত তারিখ ও সময় পর্যন্ত তাকে উক্ত গ্রামে থাকতে বলেন। কিন্তু ১২ টা পর্যন্ত উক্ত টিম না আসায় তিনি জরুরি কাজে অন্যত্রে চলে যান। এর পর থেকে এনফোর্সমেন্ট টিম তাকে তদন্তকালে থাকার জন্য মোবাইল ফোনে বা অন্য কোনভাবেই অবগত করেননি। তদন্তকারী টিম ঝাড়ঘরিয়া মরহুম অছিম উদ্দিন ঈদগাহ মাঠে মাটি ভরাট প্রকল্প তদন্ত করেন(যার বরাদ্দ ৩ লাখ) সহ বিভিন্ন অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত
    ৭টি প্রকল্প,।

    পার-আধাইয়পুর আকবরের মোড় থেকে রোস্তমের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সিসি ঢালাই প্রকল্প (যার বরাদ্দ ২ লাখ টাকা), ভান্ডারপুর তরকারী হাটি ইট সোলিং প্রকল্প (যার বরাদ্দ ২ লাখ টাকা), ভান্ডারপুর এনসিডিপির উত্তর মাথা হতে কাপড় পট্টির দক্ষিণ মাথা পর্যন্ত রাস্তা সিসি ঢালাই প্রকল্প (বরাদ্দ ২ লাখ টাকা), কোলা হাটের শহিদুল মেকারের
    দোকান থেকে জিন্নার দোকান পর্যন্ত রাস্তা আরসিসি ঢালাই প্রকল্প (যার বরাদ্দ ২ লাখ টাকা), কোলা হাটের তরকারী হাটির পুর্ব সাইডে মেঝে ঢালাই প্রকল্প (বরাদ্দ ২ লাখ টাকা) ও পশ্চিম সাইডের মেঝে ঢালাই প্রকল্প (যার বরাদ্দ ২ লাখ টাকা), কোলা হাটের গোস্তহাটি ২ টি সেড ও মাছের হাটের ২ টি সেডের মেঝে ঢালাই এবং টিওবয়েল মেরামত প্রকল্প
    (বরাদ্দ ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা), কোলা বাজারে ২টি সেড,হাটের অফিস।

    মেরামত ও রং করণ প্রকল্প (বরাদ্দ ২ লাখ টাকা) তদন্ত করেছেন বলে এলাকাবাসী জানান। পারআধাইপুর আকবরের মোড় হতে রোস্তমের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সিসি ঢালাই প্রকল্প এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক তদন্তকালে সাবল নিয়ে সিসি ঢালাই খুঁড়ে দেখতে পারেন সাড়ে ৪ ইঞ্চির স্থলে ১ইঞ্চি ঢালাই, ১শ ফিট রাস্তায় দেওয়া হয়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট টিম
    উপস্থিত জনতার সামনে বলেন‌। পার-আধাইপুর গ্রামের মৃত দূলব এর ছেলে মোঃ আলতাব হোসেন এবং একই গ্রামের মৃত মজির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ উপস্থিত কতিপয় এলাকাবাসী জানান।

    অভিযোগের আওতাধীন ভান্ডারপুর ও কোলা হাটের
    প্রকল্পগুলো তদন্তকালে অনিয়ম ও দুর্নিিতর প্রমান তদন্তকারী উক্ত টিম পেয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানান ।এবং ঝাড়ঘরিয়ার মরহুম অছিম উদ্দিন ঈদগাহ মাঠের মাটি ভরাট সহ অন্যান্য সময়ের অনুমোদিত ও বরাদ্দকৃত প্রকল্পগুলো
    তদন্ত করেন। চকতাহের টুকুর বাড়ীর সামনে ইউড্রেন নির্মাণ প্রকল্প তদন্ত করে ইউড্রেন নির্মাণ করার কোন আলামত পাননি বলে কোলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল জলিল সহ কতিপয় গ্রামবাসী সাংবাদিক সংস্থা বদলগাছী কে বলেন। উপ পরিচালক সুদিব রায় চৌধুরীরসঙ্গে মোবাইল ফোনে অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তদন্তকালে কেন সঙ্গে রাখা হয় নি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি ভুল হয়েছে ।

    এনফোর্সমেন্ট টিমের প্রধান সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীকে তদন্তকালে
    না রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকালে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে ভেবেই, এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান দেওয়ার কারণে তদন্তকালে তাকে সঙ্গে রাখা হয়নি বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। এবং তিনি আরও বলেন একজন নিরপেক্ষ
    প্রকৌশলী দ্বারা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিমাপ করা হয়েছে। উন্নয়ন সংক্রান্ত সমস্থ নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। প্রকল্প দৃশ্যমান হলেও কতটুকু কাজ হয়েছে তা যাচাইয়ের জন্য সকল তথ্য বিশ্লেষণ পুর্বক প্রকৌশলীর মতামত প্রয়োজন।

    এ ব্যাপারে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে নিরপেক্ষভাবে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে এনফোর্সমেন্ট টিম জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কোলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান,ও নৌকার মাঝি মো শাহীনুর ইসলাম স্বপন বলেন, দুদকের একটি দল এসেছিল।তারা তথ্য উপাত্ত নিয়ে গেছে। মুলত একটি গোষ্ঠী আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্ঠা করছে। জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো শফিউল্লাহ বলেন,তথ্য যাচাই হচ্ছে,তারা দু এক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা আছে। সঠিক তথ্য,পেলেই অভিযোগকারী সহ আপনাদের ও বাদীকে জানানো হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ