প্রতিনিধি ২৭ নভেম্বর ২০২২ , ১০:৫৭:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
এমএ কাইয়ুম-মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গত ২৪ নভেম্বর স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার অবৈধ ড্রেজারটি সাময়িক বন্ধ হলেও অদৃশ্য কারনে ফের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চালু হলো অবৈধ ড্রেজার বানিজ্য। রাতের আঁধারে ভরাট করা হচ্ছে জলাশয়। রাতে বোস্টারে ইঞ্জিনের বিকট শব্দে বার্ষিক পরীক্ষার্থী ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় ব্যাপকভাবে বিঘ্ন ঘটছে। রোববার উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কোলাপাড়া-তিন দোকান রাস্তার কাজী অফিস ও বেলাল জামে মসজিদ সংলগ্ন ২ একরের এই জলাশয়টি ফের অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করা হচ্ছে।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি’র সভাপতি মমিন আলীর লোক হিসেবে পরিচিত কোলাপাড়ার বাসিন্দা আক্তার হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার মাওয়া এলাকার শামীম হোসেনের মালিকানার ড্রেজারটি দিয়ে কোলাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ফসলী জমি, খাল, পুকুর ও জলধারা একেরপর এক জমি ভরাট করে যাচ্ছে আক্তার হোসেন। সরেজমিনে উত্তর কোলাপাড়া এলাকায় গিয়ে ফের জলাশয়টি ভরাটের সত্যতা পাওয়া যায়। লক্ষ্য করা গেছে, পাকা রাস্তায় টিনের দীর্ঘ বেড়া দিয়ে জলাশয়টি আড়াল করে ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করা হচ্ছে।
রাঢীখাল ইউনিয়নের হাতারপাড়া জনবসতি এলাকায় বোস্টার বসিয়ে সেখান থেকে লোহার মোটা পাইপ লাইনটি রাস্তা বরিং করে ও বিভিন্ন কৃষি জমির ওপর দিয়ে টেনে উত্তর কোলাপাড়ায় ড্রেজার লাইনটির সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে রাস্তায় দুর্ঘটনার প্রবনতা বেড়ে, বোরিং করায় কোটি টাকার রাস্তা হুমকির মুখে। রাতে বোস্টারে ইঞ্জিনের বিকট শব্দে বার্ষিক পরীক্ষার্থী ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় ব্যাপকভাবে বিঘ্ন ঘটছে বলে এলাকাবাসী জানায়। অপরদিকে দীর্ঘ ড্রেজারের পাইপ লাইনের ফলে ফসলী জমিতে হালচাষ ও কৃষি কাজকর্মে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ভূমি উপ-সহকারী তহশিলদার এইচ এম মাহমুদুল হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে বন্ধ পাওয়া যায়। শ্রীনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। আজই ব্যবস্থা নিতে যেতাম। ইউএনও স্যার জেলায় গিয়েছেন। সেজন্য যেতে পারিনি আগামীকাল গিয়ে ব্যবস্থা নিব।