প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৭:০১:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
গত ১১ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আমলী আদালতে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৭৬/২৪ মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদী হাবিবুর রহমান যুবলীগ নেতা বাজারঘোনা সুলিজগেট সংলগ্ন এলাকায় মুদি, মনোহরী দোকান সহ অটো রিক্সা ভাড়াদিয়া জীবিকা অর্জন করে। এবং আসামিরা নাকি যুবলীগ নেতার কাছে ১২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ঘটনার দিন গত ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধা ৭ টায় পরস্পর যোগসাজসে একত্রি হইয়া পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাঁশের লাঠি,লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল সহ দেশীয় প্রাননাশক অস্ত্র নিয়া বাদী যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান এর দোকানে আসিয়া ১২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা সহ ১ লক্ষ টাকার মালামাল লুটকরিয়া নিয়ে যায়।
যুবলীগ নেতার মামলায় আসামি সাংবাদিক হেলাল আহম্মেদ রিপন বলেন, এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বাদীর সাথে আমার কোন পরিচয় নেই। তাছাড়া আমার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী পৌর শহরের দক্ষিণ সবুজ বাগ ৪ নং ওয়ার্ড। এখানে আমার পৈত্রিক নিবাস। বাদীর সাথে পূর্বে কিম্বা বর্তমানে কখন সাক্ষাতে কথা হয়নি। তবে আমার মনে হয় বাদী যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান কারো ইন্ধনে আমাকে আসামি করেছে। আমি এর তিব্রনিন্দা জানাই। এবিষয় আরেক আসামি মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বশির উদ্দিন সিকদার মুঠোফোনে জানান, আমি দির্ঘদিন ধরে আমার ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকা আছি। এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। তবে আমি বিএনপির আমলে এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার অনেক শত্রু থাকতে পারে।
কিন্তু বাদী যাকে চিনেনা, যার বাড়িও মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে নয়। এমন এক সাংবাদিক বন্ধুর নামে কিভাবে আসামি করা হইল আমি বুঝুিনা। তবে এটা ঠিক বুঝতে পারছি বাদী যুবলীগ নেতা পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কৃষক দলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটুর ইন্ধনে এ মামলা ঘটিয়েছে।এসময় তিনি আরো বলেন ,আমি একটি ভিডিওতে দেখেছি টিটু নিজেই বলেছে আমর হুকুমেই এ মামলা হয়েছে বলে জানান। আমি রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার। আমি এর তিব্রনিন্দা জানাই। আমি অচিরেই এই মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করবো বলে মুঠোফোনে তিনি বলেন।