কৃষকের পরিশ্রমের মর্যাদা দিতে সরকার সচেষ্ট: খাদ্যমন্ত্রী

শাকিল হোসেন-স্টাফ রিপোর্টারঃ

নায্যমূল্যে ধান কিনে কৃষকের পরিশ্রমের মর্যাদা দিতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, কৃষকবান্ধব বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়নে বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি এদেশের কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম আমাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সাহায্য করছে।

আজ রবিবার নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আয়োজিত আমন সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমানসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, কৃষি কর্মকর্তা, খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কৃষক প্রতিনিধি, গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা

অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যের নিরাপত্তায় মজুত বৃদ্ধি করতে সরকার সচেষ্ট। আমরা বোরো সংগ্রহ অভিযানে সফল হয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায় আমন সংগ্রহেও সফলতা অর্জন সম্ভব হবে। কেউ যেন অবৈধ মজুত করে খাদ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধামুক্তির লক্ষে কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের আমন মৌসুমে তিন লাখ টন আমন ধান, পাঁচ লাখ টন সেদ্ধ চাল কেনা হবে। এছাড়া আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে দেড় লাখ টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ৯ লাখ ৫০ হাজার টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবছর সংগ্রহ মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল এবং দেড় লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি। সংগ্রহ অভিযান আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। দেশের ২৫১ উপেজলায় কৃষকের অ্যাপ ব্যবহার করে কৃষক কার্ডের বিপরীতে প্রত্যেক কৃষক সর্বোচ্চ ৩ মেট্রিক টন চাল খাদ্য গুদামে দিতে পারবেন। এবছর আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য প্রতি কেজি ২৭ টাকা, চালের মূল্য প্রতি কেজি৪০ টাকা ও গমের মূল্য প্রতি কেজি ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।