প্রতিনিধি ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৫:০৭:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
সদর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
নাবালিকা প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মিরপুর থানাতে একটি মামলা হয়। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নতুন সুতাইল গ্রামে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে আসামী ১/মোঃসাফায়েত হোসেন, পিতা মৃত নোমাজ আলী, ২/মোঃলোকমান হোসেন, পিতা মহব্বত আলী উভয় সাং নতুন সুতাইল,পোষ্ট :পাইকপাড়া, থানা মিরপুর, জেলা কুষ্টিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।ধর্ষিততা সহ অনেকের অভিযোগ যে আসামী সাফায়েত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষিতার বাসায় আসা-যাওয়া করতো, এই আসা-যাওয়ার মধ্যে মোঃ সাফায়েত হোসেনের কুনজর এই প্রতিবন্ধী নাবালিকার উপর পরে, গত ২৩/০৭/২০২১তারিখে ধর্ষিতা সাফায়েতের বাসায় খেলা করতে গেলে,ধর্ষক সাফায়েত বাসায় কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে এজাহারে বর্ণিত লোকমান হোসেনের সহযোগিতায় ধর্ষিতাকে ধর্ষণ করে এবং পরবর্তীতে ০৬/০৮/২০২১ তারিখে ভয় দেখিয়ে ভিডিও ভাইরাল করার কথা বলে আবার ধর্ষণ করে,এরই ধারাবাহিকতা গত ১/১২/২০২১তারিখ দুপুরে আসামীর বসত ঘরের শয়ন কক্ষে পুনরায় ধর্ষণ করতে গেলে ধর্ষিতা চিৎকার চেঁচামেচি করলে আসামি ঘর থেকে পালিয়ে যায়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে এবং ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে, পরবর্তীতে ধর্ষিতার মুখের কথা শুনে এবং পারিপার্শ্বিক কথা বিবেচনা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এলাকার কিছু মানুষ , কিন্তু বিষয়টির কোন সুরাহা না করায় ধর্ষিতার মা নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছেন, মিরপুর থানার মামলা নং-১৪, এ বিষয়ে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে মোবাইল ফোনে(০১৩২০১৪৭২৭৯) যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে উনি ফোনটি রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর শেখ আবু সাইদের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান এ বিষয়ে ৯(১)/৩০, ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ ধর্ষণ ও উক্ত অপরাধে সহায়তা করার জন্য একটি মামলা মিরপুর থানাতে রুজু হয়েছে, এবং আমাদের কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার স্যার, মিরপুর সার্কেল স্যার ও মিরপুর অফিসার ইনচার্জের দিকনির্দেশনায় আমরা অভিযান চালিয়ে গত ০৬/০২/২০২২ রাতে প্রধান আসামী মো:সাফায়েত হোসেন কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এবং পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক ও উত্তেজনা কাজ করতেছিল বলে যানাযায়। ধর্ষণকারীকে সাব- ইন্সপেক্টর শেখ আবু সাইদ আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করায় এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে, এবং এলাকাবাসী সাব ইন্সপেক্টর কে কৃতঙ্গতা জানিয়েছেন, সেই সাথে সাথে পুলিশ সুপার মো:খাইরুল আলম, মিরপুর সার্কেল আজমল হোসেন, ও মিরপুর অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার কাছে এই অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে সহযোগিতা চেয়েছেন।