প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২০ , ১:২৩:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
সাগর দেব নাথ-বুড়িচং(কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ
এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিয়ে করাই তার একমাত্র নেশা। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন কৌশলে এক এক করে বিয়ে করেন ৫টি। সর্বশেষ স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসলে বাধা দেন বৃদ্ধ বাবা।
তাই পিতাকে জনসম্মুখেই হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন অভিযুক্ত বিয়ে পাগল ছেলে। নিরুপায় হয়ে বাবা থানায় অভিযোগ দেন। অভিযুক্ত বিয়ে পাগল কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর গ্রামের আকমত আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া।
ভুক্তভোগী বাবা আকমত আলী জানান, আমার ছেলে সুরুজ মিয়া পরিবারের লোকজন ছাড়াই প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলার ধলাহাস গ্রামের আলফাজ আলীর মেয়ে মাফিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। ৫ বছর সংসার করে দুটি সন্তানসহ তাকে তালাক দেন।
পরে সে উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে আছমা আক্তারকে বিয়ে করে দুবাই পাড়ি জমান। সেখানে সুরুজ মিয়া দুবাই প্রবাসী যশোরের ফাতেমা আক্তার নামে আরেক মেয়েকে বিয়ে করেন। তখন থেকেই বাড়িতে থাকা আছমা আক্তারের সঙ্গে সুরুজ মিয়ার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরবর্তীতে হোমনা থানার ওমরাবাদ গ্রামের আমির হোসেনের মেয়ে সাজেদা বেগম নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে মাত্র ৩ মাস পরই আবার তাকে তালাক দেন।
তিনি বলেন, সর্বশেষে গত ৪ মাস পূর্বে মুরাদনগর উত্তর পাড়ার জায়েদ আলীর মেয়ে সুবর্ণা বেগমকে বিয়ে করেন সুরুজ মিয়া। তাকে ঘরে তুলতে আমি বাঁধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ অক্টোবর শুক্রবার আমাকে কিল-ঘুষিসহ হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন সুরুজ মিয়া।
তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ আমার ৭ শতক জমি মদিনা ব্রিকসের মালিক জালাল উদ্দিনের কাছে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করি। ওই টাকা থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও গরু বিক্রির ৫০ হাজার টাকা ধার নেয় সুরুজ মিয়া।
আমি ওষুধ খেতে পারি না, তাই তার কাছে টাকা চাইলেই আমাকে গালমন্দ করে মারধর করতে আসে সে। শুধু তাই নয়, তার দ্বিতীয় স্ত্রী আছমা আক্তার আমাকে দেখাশুনা করায় তাকেও বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার বিভিন্ন পাঁয়তারা করছে। জন্মদাতা পিতা হয়ে কতটুকু কষ্টে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়েছি তা আপনাদের বোঝাতে পারব না। শেষ বয়সে একটু শান্তিতে মরতে চাই।
অভিযুক্ত সুরুজ মিয়া জানান, আমার বাড়ি আমার ঘর, তারা আমার বিষয়ে নাক গলানোর কেউ না। পিতাকে মারধর করেছেন কেন? এমন প্রশ্নে সে বলে, শালার বেটাকে জানে মাইরা ফেলা উচিত। সে আমার পক্ষে কথা বলে না।
মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) নাহিদ আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।