স্টাফ রিপোর্টার:
২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে কলাপাড়া উপজেলায় বাংলাদেশ সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন( ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই)২০২৪ ইং মৎস আহরনে বিরত থাকা জেলেদের জন্য মানবিক সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় বিশেষ ভি,জি,এফ চাল এর ১ম কিস্তি ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই প্রতিটি পরিবারের জন্য মাসিক ৪০ কেজী হারে ৪২ দিনের জন্য ৫৬ কেজী চম্পাপুর ইউনিয়নে ৯৪৭ জন জেলেদের মাঝে ৫৩ টন ৩২ কেজী চাল বরাদ্দ করে সরকার। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নে মৎস ভি,জি,এফ জেলেদের বরাদ্দকৃত ৯৪৭ জন প্রতি প্রত্যকে ৫৬ কেজী চাল পাবে মোট পরিমান ৫৩ ,টন ৩২ কেজী। নির্ধারিত তারিখে অর্থাৎ বিতরণের দিন পাচঁ টন চাল আগে থেকেই সরিয়ে রাখা হয়।
বিধায় বরাদ্দ কৃত চালের চালানের সাথে মিল পাওয়া
যায় না পরিষদেের গুদাম ঘড়ে। এমনটাই গুঞ্জন উঠে আসে ইউপি চেয়ারম্যান মো বাবুল মাষ্টার এর বিরুদ্ধে। গত ২০ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০ টার সময় চম্পাপুর ইউনিয়নের স্কুল সংলগ্ন চেয়ারম্যান মো,বাবুল মাষ্টারের বাড়ীর সংলগ্ন অস্থায়ী কার্যালয় ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের সম্মুখে এ ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে জানা যায়, গত ২০ জুলাই চম্পাপুর ইউনিয়নে মৎসরভি,জি,এফ জেলেদের ৯৪৭ জন জেলে চাল নিতে চেয়ারম্যানের নির্দেশে সকাল ১০ টায় পরিষদে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
স্থানীয় জনসাধারণ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ট্যাক অফিসার জানতে পারে বরাদ্দকৃত চালে ব্যপক ঘাড়তি আছে। পরিষদের পার্শের দুটো রুমে রাখা জেলেদের চালের বস্তা গননা করে ১৭৬ বস্তা চাল কম পায় ট্যাক অফিসার। টন হুিসেবে প্রায় পাচঁ টন চাল কম হয় যার মুল্যে হিসাবে ৩ লক্ষ টাকা আসে। এমনটাই সাংবাদিকদের জানানো হয়।
এব্যপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো,কামাল মৃর্ধা বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে চম্পাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল মাষ্টার আজকে জেলেদের চাল বিতরন করবে কিন্তুু সেখানে চালে ব্যপক ঘাড়তি আছে। ৯৪৭ জন জেলের সব চাল না আসলে আমরা চাউল বিতরণ করেতে দেব না৷ গরীবের হক খাইতে দিব না। আগের চেয়ারম্যানও চোর ছিল আর নতুন চেয়ারম্যান হইয়াই অনিয়ম দূর্নীতি করে প্রধান মন্ত্রীর চাউল খাইতে দিমু না আমরা।
এসময় আরেক আওয়ামী লীগের নেতা তিনি জানান, এমনটা নতুন নয় এর আগেও হয়েছে আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের
মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার চাই। এই চাউল চোর চেয়ারম্যান আমরা চাই না। গত (৬ জুলাই) ঢাকার রাজ পথে যখন বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছিল শিক্ষার্থীরা। ঠিক তখনই সারাদেশে ইন্টারনেট ফেসবুক বন্ধ হয়ে যায় তাই বিষয়টি লোকমুখে শোনা যায়নি পত্র পত্রিকায় প্রকাশ পায়নি বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। এবিষয় কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি জেলেদের চাল কম আছে পরিষদে। ট্যাক অফিসারও আমাকে এ ব্যপারে জানিয়েছে এ ব্যপারে তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছে।
উক্ত ঘটনার ব্যপারে চম্পাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো,বাবুল মাষ্টার দৈনিক আনন্দ বাজারকে বলেন,চাল কম আসে নাই ঠিক আছে।এর কিছুক্ষণ পরে বলেন, আপনারা সাংবাদিক বোঝেন না। আগের চেয়ারম্যান ও খাইছে আমিও খাইতেছি এটা আনঅফিসিয়াল আপনাদেরকে বলেছি। পরে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। এবিষয় পরিষদের সচীব মো, মামুন মৃর্ধার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি পটুয়াখালী আছি আনার বাচ্চা অসুস্থ। সচীব না থাকলে পরিষদে চাল বিতরন করার কোন সুযোগ আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ধ্রুত পরিষদে চলে আসেন। পরে ঘটনাস্থলে তার কাছে জানতে চাইলে বলেন আমি কি বলবো আপনারাই তো দেখতে পাচ্ছেন চালে ঘাড়তি আছে এই
বলে তিনি সরে পড়েন।
সার্বিক বিসয় নিয়ে স্থানীয় জনৈক ব্যক্তিরা নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক, তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্ধারিত তারিখের পরে পূনরায় চাল ক্রয়করে পরিষদে মজুদ রেখে এক সপ্তাহ পরে ৯৪৭ জন জেলেদের মাঝে ৫৬ কেজী করে চাল বিতরন করেন ট্যাক অফিসারের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান বাবুল মাষ্টার এমনটাই জানান স্থানীয় জনসাধারণ।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.