• আন্তর্জাতিক

    কর্মী পাঠাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে চুক্তি সই

      প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ৭:৩৭:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিউজ ডেস্ক

    নানা সংশয়ের পর অবশেষে বাংলাদেশি কর্মীদের নিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি দিলো মালয়েশিয়া। রোববার সকালে দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার পক্ষে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান এই সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন।

    এর মাধ্যমে প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য খুলতে যাচ্ছে।এর মধ্য দিয়ে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন খাতে বহু বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হল বলে আশা করছেন বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা।বৃক্ষরোপণ, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন, নির্মাণ এবং গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে জানান মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী।

    জানা যায়, আগের চেয়ে এবারের সমঝোতা স্মারকে বেশকিছু বিষয়ে পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জিটুজি প্লাস পদ্ধতি উল্লেখ থাকছে না। নতুন করে যুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সি। থাকছে কর্মীদের বাধ্যতামূলক বিমা। কর্মীদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা ও খরচ বহন করবে নিয়োগদাতা। চুক্তি মেয়াদে কর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সিকেও। বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত।

    তবে এই সমঝোতার আওতায় কারা কাজের সুযোগ পাবেন, মালয়েশিয়া যেতে অভিবাসন ব্যয় বা খরচ কত হবে, কীভাবে কাদের ব্যবস্থাপনায় তাদের পাঠানো হবে, কী কী শর্ত থাকবে, সেসব বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
    মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার, শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, শ্রম কাউন্সিলর (দ্বিতীয়) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল এবং মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ ও কমিউনিটি নেতারা এ সমঝোতা স্মারক সইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ দিতে মালয়েশিয়ার সরকার দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়কে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের অনুমতি দেয়।কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রেক্ষিতে প্রায় দুই বছর ধরে বিদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ রেখেছিল মালয়েশিয়া। যদিও বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ ছিল প্রায় চার বছর ধরে।এখন দুদেশের মধ্যে কর্মী সংক্রান্ত এমওইউ স্বাক্ষর হওয়ার পর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোয় আর কোনো বাধা থাকবে না।

    মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর ২০১৬ সালে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। পাঁচ বছর মেয়াদী এই চুক্তির আওতায় লোক পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়েছিল ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সিকে।

    কিন্তু প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে একটি চক্র ওই ১০ এজেন্সিকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বছরে ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে।
    এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া। তবে আগে যারা ভিসা পেয়েছিলেন, তারা পরেও মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ