প্রতিনিধি ১৭ নভেম্বর ২০২২ , ১১:০৪:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
আলমগীর হুসাইন অর্থঃ
সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে ১৩৪ নং পার গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমিনা খাতুন এর বিরুদ্ধে। এমনকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বার বার নির্দেশনা দেওয়ার পরও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন না করার।
সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন আমিনা খাতুন।এর পর থেকে বিদ্যালয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন পরিবার তন্ত্র। তার ভাসুর (স্বামীর বড় ভাই) কে সভাপতি করে সম্পুর্ন নিজের ইচ্ছায় তিনি পরিচালনা করেন বিদ্যালয়। যেকারনে বিদ্যালয়ের লেখা পড়া সহ সার্বিক অবস্থায় অসন্তুষ্ট স্থানীয় সচেতন মহল।
স্থানীয় দের দাবি আনুমানিক আড়াই বছর পুর্বে বিদ্যালয়ের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও তিনি কোন নতুন কমিটি গঠন করেন নি। অবিভাবকদের চাপের মুখে ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে অবিভাবক সদস্য নির্বাচন করলেও দীর্ঘ আড়াই মাসে তিনি কমিটি গঠন সম্পুর্ন করেন নি। কারন হিসেবে অবিভাবক সদস্য পদে নিজের প্যানেল জয় যুক্ত করতে না পারা কে দায়ী মনে করেন তারা।
অবিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত ৪ জন সদস্য, স্থানীয় সাংসদ কতৃক মনোনিত বিদ্যুৎসাহী সদস্য ০২ জন ও উপজেলা চেয়ারম্যান কতৃক মনোনীত দাতা সদস্য ০১ থাকলেও তিনি বিলম্ব করছেন সভাপতি নির্বাচনের। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনগণ ও সকল (নির্বাচিত+ মনোনিত) সদস্যগণ। তারা একত্রিত ভাবে বলেন অবিলম্বে কমিটি গঠন না করলে আমরা মানববন্ধন করবো।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, সেপ্টেম্বরের ০৫ তারিখে অবিভাবক সদস্য নির্বাচন ও পরবর্তীতে বিদ্যুৎসাহী এবং দাতা সদস্য মনোনীত হওয়ায় এর ৭ দিনের মধ্যে কমিটি করার নিদর্শনা থাকলেও তিনি করেননি।মৌখিক ভাবে বার বার বললেও তিনি কমিটি গঠন না করায় শোকচ করি। তিনি ৩ দিন পুর্বে তার জবাব দিয়েছেন যেখানে তিনি কমিটি সম্পুর্ন করতে ০১ সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা আমিনা খাতুন বলেন, ০১ সপ্তাহের মধ্যে আমি কমিটি গঠন সম্পুর্ন করবো।