• আইন ও আদালত

    কমলনগরে মাদরাসার নামে জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ তুলছে একটি মহল

      প্রতিনিধি ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০:৩৩:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    এইচ.এম.আল-আমিন,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি

    লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর কাদিরা ইউনিয়নে অবস্থিত দারুল উলুম মোহাম্মদীয়া মাদরাসা। মাদরাসাটি ২০১২ ইং সালে বাদামতলী বাজারে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ মাদরাসাটি খুবই সুন্দর এবং সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।বর্তমানে মাদরাসায় ৫৫০ জন ছাত/ছাত্রী অধ্যয়নরত আছে। মাদরাসা পরিচালক মাওলানা ইসরাফিল জানান একটি কুচক্রী মহল মাদরাসার দীর্ঘ ১০ বছরের সুনাম সুখ্যাতী নষ্ট করতে আমি এবং মাদরাসার বিরুদ্ধে জমি ও ঘর দখলের অভিযোগ তোলেন।

    গত ২১ সেপ্টেম্বর আমার ও মাদরাসার নামে জমি ও ঘর দখলের অভিযোগে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত এ মিথ্য নিউজের তীব্র নিন্দা জানাই।আমি ২০২০ সালে চর বসু মৌজায় (আর এস)১৯/১ খতিয়ান মুলে ৯২ দাগে ৫ শতাংশ জমিন খরিদসূত্রে ২৫৩৪ ও ৩২৭২ নং দলিলে মালিক হয়।আমার দাতা মোঃ খুরশিদ আলম ২০১৪ সালে মোঃ জামাল থেকে খরিদসূত্রে ২৭৫ নং দলিলে ৯২/৯৩ দাগে সাড়ে ৩৪ শতাংশ জমিনের মালিক হন।তিনি আমার কাছে ৫ শতাংশ জমিন ও একটি টিনসেট ঘরসহ বিক্রি করেন এবং ঘরসহ আমাকে দখল বুঝিয়ে দেন।

    আমি ৯২ দাগের আরো ১০ শতাংশ জমিন চর কলাকোপা কারামতিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা থেকে লিজ সূত্রে ভোগ দখল করে থাকি। ৯২ দাগে মোট জমির পরিমাণ ২০ শতাংশ, আমার মোট জমির পরিমাণ হলো ১৫ শতাংশ। আমার দখলে আছে ১১ শতাংশ। বর্তমানে আমার এখনো ৪ শতাংশ জমিন আমার দখলে নেই।হঠাৎ শামসুল আলম নিশাত নামে এক লোক এসে আমার মাদরাসার ঘর ও জমিন দাবি করে।আমি তাকে বলছি আমার ভিতর যদি আপনার জমিন থেকে থাকে আপনি সার্ভেয়ার এনে পরিমাপ করে নিয়ে যান।

    এবিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান আমরা কখনো এখানে নিশাত বা তার বাবাকে কখনো দেখি নি।এলাকাবাসীর মধ্যে শাহে আলম জানান,এ ঘর এবং জায়গা মাদরাসার।মাদরাসা এটা খুরশিদ থেকে খরিদসূত্রে মালিক শফিক খোনকার বলেন আমরা কখনো এই ঘর ভাড়া দেওয়া,বা এই ঘর নিয়ে নিশাত বা তার বাবাকে কখনো দেখি নাই।হঠাৎ জানি যে মাদরাসার এ ঘর নিশাত দাবি করছেন।আনিসুল হক মেস্তুরি বলেন,এই ঘর আমি নিজ হাতে নির্মাণ করেছি।খুরশিদ আমার মাধ্যমে এই ঘর নির্মাণ করেছে।

    আরো বক্তব্য রাখেন মোঃ ইবরাহীম,মোঃ আলি মেস্তুরী,মোঃ ইসমাইল প্রমুখ।এই বিষয় জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হারুনকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায় নি। এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ খোকন জানান,মাও: ইসরাফিল ৫ শতাংশ জমিন ও ঘর খুরশিদ থেকে খরিদ করেন,এ বিষয় আমার জানা আছে।এবিষয়ে সার্ভেয়ার প্রমেশ্বর রায় চাকমা জানান সহকারী কমিশনার(ভূমি) স্যারের নির্দেশনায় আমি সরেজমিনে গিয়ে আমি তদন্ত ও ভূমি পরিমাপ করে আসি।আমি এ বিষয়ে এখনো প্রতিবেদনে দি নাই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ