প্রতিনিধি ১৯ জুলাই ২০২০ , ১০:২৯:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
এস এম কামরুল হক-স্টাফ রিপোর্টারঃ
শেষ পর্যন্ত কঠো’র অবস্থানে গেলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কঠো’র নির্দেশনা এবং আদেশের কারণেই গ্রেপ্তার হলেন প্র’তারক সাহেদ এবং এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা শূণ্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণের ঘোষণা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ১ সপ্তাহ যাবত সাহেদ গ্রেপ্তার না হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান কেন গ্রেপ্তারে দেরি হচ্ছে। এই ব্যাপারে শুধু সাহেদ নয়, সাহেদের সঙ্গে যারা যারা সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নির্দেশ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, কাউকেই ছাড়া হবেনা। শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থা নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে কিভাবে সাহেদ জড়াল, আওয়ামী লীগে কারা সাহেদকে নিয়ে আসলো বা কারা সাহেদকে বিভিন্ন উপকমিটিতে স্থান দিলো সে ব্যাপারেও খোঁজ নিতে দলের সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, রিজেন্ট হাসপাতালের ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, এই ধরণের অপ’ক’র্ম কিভাবে হলো তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং অবিলম্বে তিনি সাহেদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন এবং সাহেদ যেন সর্বোচ্চ শাস্তি পান সে ব্যাপারেও নির্দেশনা প্রদান করেন।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সরকারের যে অর্জন এবং করোনা মোকাবেলায় পদক্ষেপগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে এরকম হাতেগোনা দু-একটি অপ’ক’র্ম’কারীর খারাপ কাজের জন্য। এই পরিস্থিতি যেন না হয় সেজন্য কঠো’র অবস্থানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এখন কাজ করছে। শুধু সাহেদ একা না, সাহেদের মতো আরো যারা বিভিন্ন রকম অপক’র্ম করছে তাঁদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য।
সূত্রগুলো আরো বলছে যে, রিজেন্ট হাসপাতালের এই অপ’ক’র্মের পর প্রধানমন্ত্রী বি’ষ্মিত হন এবং করোনার সময়ে এই ধরণের দু’ষ্ক’র্ম মানুষ কিভাবে করেন সেই প্রশ্ন তিনি করেন এবং এর পরপরই সাহেদকে আইনের আওতায় দ্রুত আনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, শুধু সাহেদ নয় এই করোনার সময় যারা অপ’ক’র্ম করেছে, দু’ষ্ক’র্ম করেছে তাঁদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে এবং কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সাহেদের সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট ছিল এবং সেখানে প্রভাবশালী মহলের কেউ সম্পৃক্ত ছিলো কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে এবং এর সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাঁদের সবাইকে খুঁজে বের করা হবে। এখানে যদি আওয়ামী লীগের কোন ব্যক্তিও থাকে বা প্রভাবশালী কোন সরকারি কর্মকর্তাও জড়িত থাকে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একজন উর্ধ্ব’তন কর্ম’ক’র্তা বলেন যে, সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হবে এবং সেখানে দেখা হবে যে সাহেদের সঙ্গে কারা কারা সম্পৃক্ত ছিল। এখানে কারো পরিচয় দেখা হবে না, যারা সম্পৃক্ত তাঁদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাঁদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, শুধু সাহেদ নয়, কোন অপ’ক’র্ম’কারীকেই ছাড় দেওয়া হবেনা এবং এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শূন্য সহি’ষ্ণু’তা নীতি গ্রহণ করেছেন।