নাইক্ষ্যংছড়ির পাশ্ববর্তী উপজেলা রামুর কচ্ছপিয়ায় পৃথক ঘটনায় সন্ত্রাসী কায়দায় হামলায় ৫ নারী-পুরুষ আহত ও ৫১ হাজার নগদ টাকাসহ একটি মোবাইল লুট করা হয়েছে। সোমবার (১১ জুলাই) রাতে পৃথক এ ঘটনা কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গোদাইয়া কাটা, ৯ নং ওয়ার্ডের মৌলভীর কাটা নদীর পশ্চিম কোল ও ৩ নং ওয়ার্ডের নতুন তিতার পাড়া এলাকায় ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আহতরা হল মনির উদ্দিন (২৩) পিতা বাকের ফকির, গোদাইয়া কাটা, রাশদা বেগম, স্বামী আব্দুল হাফেজ, আব্দুল হাফেজ, পিতা অজ্ঞাত,সাং নতুন তিতার পাড়া ও মৌলভীর কাটা নদীর পশ্চিম কোল এলাকার রেহেনা ও তার মেয়ে আমেনা বেগম।
ইউনিয়নের গোদাইয়া কাটা গ্রামের বৃদ্ধা আশরাফ জামান ফকিরসহ অনেকে জানান,কোরবানের ঈদের আগে ৪ নং ওয়ার্ডের গোদাইয়া কাটা এলাকার মনির উদ্দীন নামের এক ব্যক্তির দোকানের মালামাল নগদ টাকা চুরি করে একদল ছিনতাইকারী। ওই ছিনতাইকারী দলের এক সদস্যের কাছ থেকে কিছু চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে তাকে হালকা মারধর করে। এর পর বিষয়টি স্থানীয় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ঘটনা মিমাংসা করা হয়। কয়েকদিন যেতে না যেতে এ ঘটনার রেশ ধরে চোর ও ছিনতাইকারীরা মিলে দোকানদার মনির উদ্দিন সোমবার বেচা কেনা শেষে রাত ১১ টায় বাড়ী ফেরার পথে।
চোর আবুল মওলা ও তার পিতা আবুল শামার নেতৃত্বে ৮/৯ জন মনিরকে চোখ বন্ধ করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ফুলা,ও হাড়ভাংঙ্গা জখম করে। এসম তারা মনিরের মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে ফেলে যাওয়ার সময় তার সাথে থাকা একটি মোবাইল ও নগদ ৫১ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তার ভাই ও আত্মীয়স্বজন উদ্ধার করে দ্রুত প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেপার করে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার বর্তমান অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
একই দিন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নতুন তিতার পাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শাহ আলম ও তার ছেলে সাইফুল ইসলাম এবং সাদ্দাম হোসেন মিলে আব্দুল হাফেজ ও তার স্ত্রী রাশেদা বেগমকে ব্যাপক মারধর করে এতে দু'জনেই আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আব্দুল হাফেজ একটু সুস্থ হলেও তার স্ত্রী রাশেদার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। অপরদিকে ৯ নং ওয়ার্ডের নদীর পশ্চিম কোল এলাকায় মা মেয়েকে বেঁধে মারধরের ঘটনা কে কেন্দ্র করে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এতে আবারও মা রেহেনা বেগম ও মেয়ে আমেনা বেগম গুরুতর আহত হলে তাদের রামু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। পৃথক এসব ঘটনার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোজাম্মেল হক জানান, তিনি হাসপাতালে আহতদের দেখেছেন এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়েছেন। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
E-mil: dailyalokito71sangbad@gmail.com
তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত গণমাধ্যম দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ
@বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোক চিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি।
Copyright © 2024 alokito71sangbad. All rights reserved.