প্রতিনিধি ২২ নভেম্বর ২০২২ , ১১:০২:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মু,হেলাল আহম্মেদ রিপন-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
চলতি বছরের গত ৬ নভেম্বর ঘটে যাওয়া পটুয়াখালী ওজোপাডিকোতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী কতৃক সহকারী প্রকৌশলী আবদুল করিম মিয়াকে ব্যপক মারধর ও গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৬ নভেম্বর দুপুর ১.১৫ মিনিটের সময় ওজোপাডিকো প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নিয়ম বহিরর্ভূত সংযোগ দেয়ার প্রতিবাদ করায় সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল করিমকে মারধর করেন ওজোপাডিকোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন।
সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে দেখামেলে, বিতরণ বিভাগ ওজোপাডিকো লিমিটেড পটুয়াখালীতে বহু পুরাতন ৩৩/১১ কেভি লাইন। যাহা পটুয়াখালীর প্রথম ৩৩/১১ কেভি লাইনে গ্রিড থেকে প্রথম সোর্স লাইন ছিল। বর্তমানে ৩৩ কেভি লাইন পটুয়াখালী কোর্ট বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বাকি ৩ জি,কেভিজি লাইন প্রায় দেড় কিলো মিটার কোন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই, ডিস মেলটিং করেছেন ওজোপাডিকো।
সার্বিক বিষয়ে খোঁজনিতে গেলে পৌরসভাই সর্বপ্রথমন ওঠে আসে। দেখাযায়, ৩৩ কেভি পোল বা মারলিন তার কিছুই নাই স্ব স্ব স্থানে। সবই খুলে নিয়ে গেছে ওজোপাডিকো প্রধান।
অপর দিকে পটুয়াখালী চৌরাস্তা থেকে চার লাইনের রাস্তা প্রশস্ত করার উদ্দ্যেগ নিয়েছে পৌরসভা।এই লক্ষ্য নিয়ে উক্ত লাইনটির ডিসমেলটিং করিয়া স্টোরে মালামাল জমা না দিয়ে অন্যত্র সড়িয়ে নিয়েছেন পটুয়াখালী ওজোপাডিকো এমনটাই জানালেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল করিম।
উক্ত অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার সাথে সম্মনয় করে ঠিকাদারের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ নিয়েছেন ওজোপাডিকোর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো, মাইন উদ্দিন আহম্মেদ। জানা যায় তথাকথিত একজন নামমাত্র ঠিকাদারের লেবার সর্দার এর সহযোগিতায় তিনি এই কাজগুলো সবার অগোচরে করে আসিতেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের ওজোপাডিকো লিমিটেড। পটুয়াখালীর এক কর্মকর্তা জানান, নিয়ম অনুযায়ী পুল সরানোর কাজ টেন্ডার ভিত্তিক কাজ হিসেবে কার উচিত কিন্তু তিনি তা না করে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেছেন যাহা সম্প্রন্য
ভাবে অবৈধ।
এব্যপারে ভুক্তভোগী আব্দুল করিম মিয়া বলেন,
আমাকে মারধর করার উদ্দেশ্য হলো আমি প্রতিবাদ করি,বিভিন্ন সংযোগ অবৈধ ভাবে দিয়েছে এই মাইন উদ্দিন, যেমন রুস্তম মৃর্ধার কালভার্ট থেকে মির্জাগঞ্জ সড়ক পর্যন্ত উদ্ধতন কতৃপক্ষকে না জানিয়ে মালামাল বিক্রি। এবং পিটিএস মাঠ সংলগ্ন সসান ঘাট এলাকায় একাধিক সংযোগে দেয়া প্রতি সংযোগে ৩০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন ১০ তলা ভবনে ৩৩ কেভি সংযোগ আর্থিক লেনদেন। পটুয়াখালী দক্ষিণ সবুজ বাগ ১ম লেন পটুয়াখালী টাওয়ার ১০ তলা ভবনে অবৈধ সংযোগ।সবুজ বাগ ৩য় লেন ১০ তলা ভবনে সংযোগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বানিজ্য করেছে এই প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন। প্রসেসিং এর ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন,এগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে হওয়ার কথা তা না হয়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত হওয়ায় গায়ের জোরে এসব করছেন। আমাকে মারধর করার পরে আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আমি বরিশাল, যশোর প্রধান কর্মকর্তাদের জানিয়েছি এবং আমার পার্সনাল আইডি থেকে মেইল করেছি। আমি উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের জোর অনুরোধ করছি আপনারা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিন।,এবং আমার চাকুরীতে পূর্ণ বহাল তবিয়তে নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের ওজোপাডিকো লিমিটেড পটুয়াখালী ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো, মাঈন উদ্দিন আহম্মেদ’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমার সাথে খারাপ আচরন করেছে। তাকে লিখিত ভাবে দরখাস্ত দিতে বলা হয়েছে তাতে কোন কর্নপাত করেনি সে। সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল করিম এর উপর আপনি যে হামলা করেছেন ব্যাপক মারধর করার বিষয় জানতে চাইলে, সব অস্বীকার করে বলেন, সব মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক তারা আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য এসব পায়তারা চালাচ্ছে।মামলার বিষয় জানতে চাইলে বলেন, আমি কোন মামলা করিনি সে করতে পারে তা আমার জানা নেই। আরো বিস্তারিত নিয়ে পরবর্তী সংখ্যায় আমাদের সাথেই থাকুন।