প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২৪ , ৩:০১:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
সুজানগর উপজেলা ২৩০৪৮˝থেকে ২৪০০০˝উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯০২৩˝থেকে ৮৯০৩৮˝পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। সুজানগর উপজেলা পাবনা জেলার অন্তর্গত। পদ্মা নদী বাহিত পলিদ্বারা সৃষ্ট প্লাবন সমভূমির উপর অবস্থিত এ জনপদের রয়েছে অনেক সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। সুজানগরের আদি নাম গোবিন্দগঞ্জ। মুঘল সম্রাট শাহ্জাহানের রাজত্বকালের শেষভাগে তার পুত্রদের মধ্যে রাজ সিংহাসন দখল নিয়ে যে বিরোধের সূত্রপাত হয় তার ধারাবাহিকতায় যুবরাজ শাহ সুজা আরাকানে পালিয়ে যান। তিনি আরাকান গমনকালে সুজানগরে ৩ রাত অবস্থান করেন।
যুবরাজ শাহ সুজার এই অবস্থানকে চিরস্বরনীয় করে রাখার জন্য এ অঞ্চলের মানুষ এ জনপদের নামকরণ করেন সুজানগর । সুজানগর বিখ্যাত তাঁতিবন্দ বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর জমিদার বাড়ী ও দুলাই আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ী এবং সাগরকান্দি হযরত শাহ মাহতাব উদ্দিন আউলিয়ার মাজার শরিফ, নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট এবং গাজনার বিলের জন্য। পাবনা জেলার পেঁয়াজ উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থানে সুজানগর উপজেলা। দেশের পেঁয়াজ চাহিদার বড় একটা অংশ পূরণ হয় এই উপজেলা থেকেই। সুজানগর উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশের রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত, এই উপজেলাকে ঘিরে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমে পদ্মা নদী, উত্তর-পূর্বে আত্রাই নদী, মাঝে বিল গাজনা ও বিল গন্ডহস্তি। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতো হলেও তবু কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়।এই উপজেলায় রয়েছে পালপাড়া কুটির শিল্প, কুড়িপাড়া তাঁতশিল্প, নিশিপাড়া বাঁশবেতের হস্ত শিল্প, পদ্মা সংগীত একাডেমি এবং বিশিষ্ট অভিনেতা জনাব চঞ্চল চৌধুরীর জন্ম এই উপজেলাতেই। অত্র উপজেলার দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত পদ্মা নদী সংলগ্ন চরে প্রচুর পরিমানে আঞ্চলিক বালু পাওয়া যায়। এই বালু সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়।
তথ্য সূত্র: উপজেলা প্রশাসন সুজানগর
ধন্যবাদান্তে: প্রতিদিনের সুজানগর