প্রতিনিধি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৬:০৬:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ নুরুল আমীন সরকার-সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি:
বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে অনেক ফুল ফোটলেও এখন আর তেমন চোখে পড়েনা রক্তলাল শিমুল ফুল। কিন্তু কালের বিবর্তনে গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জে আগুন ঝরা ফাগুনে চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
বিগত এক-দেড় যুগ আগেও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আঙ্গিনায় আনাচে কানাচেসহ রাস্তার ধারেও অনেক শিমুল গাছ দেখা যেতো। প্রতিটি গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিতো বসন্তের আগমনকে।
শীতের পরেই ঋতুরাজ বসন্ত আগমনের সাথে সাথে প্রকৃতিতে লেগেছে তার ছোঁয়া। প্রতিটি গাছেই আসতে শুরু করেছে নতুন পাতা। প্রকৃতিতে দক্ষিণা বাতাসে আম মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে মুগ্ধ চারিদিক। কোকিলের শু মিষ্টি কুহুতালে ফাগুনের উত্তাল বাসন্তী হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা। মুকুল আর শিমুল ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এসেছে ফাগুন।এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা সুন্দরগঞ্জর প্রবীণরা বলেন, শিমুল গাছ রক্ষায় এখনই ব্যবস্থা না নিলে এক সময় উপকারী গাছের তালিকা থেকে এ গাছটি হারিয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো জানতেও পারবে না বাংলার মাটিতে শিমুল নামের কোন গাছ ছিল।