প্রতিনিধি ২১ ডিসেম্বর ২০২১ , ৯:৪৭:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ লুৎফর রহমান লিটন*সলংগা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মহাসড়কে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইক, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমন, করিমন, ট্রলি, সিএনজি ও অটো ভ্যান। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা, অকালেই হারাচ্ছে হাজারো প্রাণ। বিশেষ করে পাবনা-বগুড়া মহাসড়কের বোয়ালিয়া বাজার, শ্রীকোলা মোড়, শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড, বালসাবাড়ী বাজার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ। এসব জায়গায় ইজিবাইক, সিএনজি ও অটো ভ্যান স্ট্যান্ড করে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে মহাসড়কের অর্ধেকই চালকদের দখলে থাকে। কোনোভাবেই যেন মহাসড়কে এই অবৈধ যানবাহন চলাচল থামানো যাচ্ছে না। ফলে প্রতিনিয়ত মহাসড়কে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। এতে পথচারী, যাত্রী, চালক ও শ্রমিক অকালেই প্রাণ হারাচ্ছে।
এ বিষয়ে পথচারী আনোয়ার ইসলাম বলেন, অবৈধ এসব যানবাহন মহাসড়কে দুর্ঘটনার মূল কারণ। ওদের নেই কোনো কাগজপত্র, ড্রাইভার সিটে বসে আছে শিশু-কিশোরেরা। অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে এসব যানবাহন পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ ছাড়া এসব ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালানোর জন্য প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। এসব ছোট গাড়ি যেখানে-সেখানেই পার্কিং করে রাখা হয়, যার কারণে বড় গাড়িগুলো চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তাই এগুলোর ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
দূরপাল্লার বাসচলক সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে মহাসড়কে যানবাহন চালাচ্ছি। অথচ আমরা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে সরকারি আইনে আমাদের পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু ওই সব অবৈধ যানবাহনচালকের নেই কোনো ধরনের কাগজপত্র এবং তাদের কোনো প্রকার জরিমানাও করা হয় না। অথচ পুলিশকে ম্যানেজ করেই এসব অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে চলাচল করছে।
এ বিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিনিয়তই অবৈধ এসব যানবাহন আটক করে মামলা দেওয়া হচ্ছে।