প্রতিনিধি ৩০ জানুয়ারি ২০২১ , ৫:৩৯:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একটি সেতু নির্মাণে বদলে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। অবসান হবে খেয়া নৌকায় পারাপার। প্রতিষ্ঠা পাবে দ্রুত ও সহজ যোগাযোগ। পৌর এলাকার বারুইয়ায় কচুয়া নদীর উপর প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যায়ে সেতুটি নির্মাণ কাজ চলছে। এলজিইডি থেকে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
উল্লাপাড়া পৌর এলাকার বারুইয়া খেয়া ঘাট হয়ে দুটি ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০ টি গ্রামের বসতিরা উপজেলা সদরে আসা যাওয়া করে থাকে। বড়হর ও পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন দু’টির বিভিন্ন গ্রামের বসতিদের কাছে চলার পথে বারুইয়া খেয়া ঘাটে বর্ষাকালে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
শুকনো মৌসুমে নদীটি পারাপার হতে হয় পায়ে হেটে। সরাসরি চলে না যানবাহন। এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করণে সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের একান্ত প্রচেষ্টায় বারুইয়া খেয়া ঘাটে কচুয়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের সাধারণ জনগনের আশা পূরণ হচ্ছে।
উল্লাপাড়া এলজিইডি সূত্রে, সিরাজগঞ্জ জেলা গুরুত্বপুর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পে ৯৬ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ কাজ চলছে। এর পিছনে ব্যয় বরাদ্দ ৬ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ৯শ ৩১ টাকা। বিগত ২০১৯ সালে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। চট্রগ্রামের মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ কাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে সেতুটি নির্মাণ কাজ করছে শ্রমিকেরা। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে এর নির্মাণ কাজ তদারকি করা হচ্ছে।
বড়হর ও পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বেশ ক’জন বসতি জানান, উপজেলা সদরে আসা যাওয়ায় বর্ষাকালে বারুইয়া খেয়া ঘাটে নৌকায় পারাপারে সময় লেগেছে। আবার এক খেয়া ঘাট ছেড়ে গেলে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। সেতুটি নির্মাণ শেষে চালু হলে তাদের চলাচল দুর্ভোগ অবসানের পাশাপাশি দ্রুত ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, সেতুটি নির্মাণ শেষে চালু হলে উপজেলা সদরের সাথে ২ থেকে ৩টি ইউনিয়নের মধ্যে এবং জেলা সদরের সাথে দ্রুত ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। তার বিভাগ থেকে সেতুটি নির্মাণ কাজ একজন উপ সহকারী প্রকৌশলী সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন।