প্রতিনিধি ১ মে ২০২২ , ৪:৫২:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ
অসমাপ্ত সেই তুমি-শিহাব আহম্মেদ
আনিছুর রহমানের এক মাত্র ছেলে এসএসসি পাশ করে মানিকহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। তার নাম আরিফ দেখতে খুবই সুন্দর। সে ছিলো খুব শান্ত শিষ্ট একটি ছেলে। তার বাড়ি ও গ্রামের সবাই তাকে আদর করে। সে তার বেকার জীবন’কে ভালবাসে না। সে তার পড়ালেখার মধ্যই বাজের কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার দোকানে সে তার অবসর সময় কম্পিউটারের কাজ শিখে নেয়। আরিফ এখন ভাবছে তার এক পরিচিত জন তাকে বলে বি-বাড়ি কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ভর্তি হবে। আরিফের পরিবার টি ছিলো মধ্যবিত্ত। আরিফ পরিবার সারাক্ষণ চিন্তিত, তাকে যে তাদের পরিবারের ছোট ছেলের কি দিয়ে যাবে। তাদের তো তেমন কিছু নেই। পরের জমি জমা চাষ করে তাদের পরিবার ও সংসার চলে। তারপর আরিফ’কে পড়াশুনা করাতে গিয়ে অনেক কষ্ট হয়েছে আরিফের বাবা, একদিন মানিকহাট বাজারে বসে আছে একটি চা স্টলে বসে সে ভাবতে লাগলো যে আমি সাধারণ একজন কৃষক মানুষ পরের জমি জমা চায় করে চলি ও পারিবার চালাই।
আর কত কষ্ট করে আরিফের এতোদূর লেখা-পড়া করাচ্ছি। এখন যদি আরিফ আবার আরও লেখাপড়া করতে চায় তাহলে আমি তাকে কেমন করে খরচ দিবো? এই কথা ভাবতে ভাবতে সে বসা থেকে সেখানেই ঢলে পড়ে যায়। তারপরই যে এই পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিল। তারপরে চা স্টলের লোকজন সবাই দৌড়াদৌড়ি করে আরিফের বাবা’কে ধরল। তখন আরিফের এক দুঃসম্পর্কের কাকা গিয়ে আরিফের বাবা কে দেখতে পেল তারপর সে দূরে গিয়ে ডাক্তার আনল। ডাক্তার তাকে দেখেই বলল সে আর বেচেঁ নেই। তারপর তার দেহটাকে একটি সাদা চাদর দিয়ে ঢেকে দিল। তারপর সবাই মিলে বাজারের মোড় থেকে একটি ভ্যান গাড়ি দিয়ে নিয়ে গেল। তার বাড়িতে নিয়ে উঠানে রাখল আরিফের মা স্বামীর লাশ দেখে বিলাপ করতে লাগল। সত্য বলতে কি ভালো মানুষ বেশি দিন বেচেঁ থাকে না। আরিফের বাবার মত মনে হয় এই বাংলাদেশে দ্বিতীয় লোক আছে কি না বলা যাবে না? আরিফের বাবার মত লোক কমই আছে। সে গরীব মধ্যবিত্ত হলেও তাকে গ্রামের সবাই সম্মান করতো। সে কখনও অন্যায় কাজকে প্রশয় দেয় নি। এই কৃষি কাজের মাঝেও তিনি এক ওয়াক্ত নামায কাযা হয়নি। আরিফে বাবা মধ্যবিত্ত হলেও তার সংসারটি ছিল খুব সুখের। তার শুধু মাত্র ছেলে আরিফ। আর কোন ছেলে মেয়ে নেই। হাসি-খুশিতে ভরপুর ছিল আনিছুর রহমানের ছোট খাটো সংসার। তখন আরিফেরর মা বলছে আমার বাড়িতে লাশ এ লাশ কার? কারো মুখ থেকে কোন শব্দ বের হচ্ছে না, সবার চোখ দিয়ে অশ্রু বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কেউ মুখ ফুটে কিছুই বলছে না। হঠাৎ একটা ছেলে বলল চাচী এ হচ্ছে আমাদের আনিছুর কাকা,আরিফের বাবা। এ কথাটি শুনে আরিফের মা বিশ্বাসই করতে পারল না। তখন সে লাশের উপর থেকে সাদা কাপড়টি সরিয়ে দেখতে পেল তার স্বামীর লাশ। লাশ দেখা মাত্রই
আরিফের মা জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। তখন সে পাশের বাড়ির লোকজন পানি ঢেলে আরিফের মায়ের জ্ঞান ফিরিয়ে আনল। তখন সে লাশের সামনে বসে চিৎকার করে বলতে লাগলো হে খোদা তুমি একি করলে। আমার বুক থেকে আমার স্বামীকে কেড়ে নিলে। আমার সন্তানকে তুমি এতিম করে দিলে। এখন আমি কি করবো কাকে নিয়ে বাচঁব? আমার সন্তানের আহার আমি কিভাবে যোগার করবো? তুমি যে আমার সবই শেষ করে নিলে। এগুলো সে বলছে আর কাদঁছে তখন পাশের বাড়ির কিছু মহিলা এসে আরিফের মা’কে তারা মিলে ঘরের ভিতর নিয়ে খুলে ফেলল তার হাতের চুড়ি,কানের দুল,গায়ের জরিয়ে দিল সাদা কাপড়।
পরবর্তী বাকি অংশ পেতে আলোকিত ৭১ সংবাদ এর সাথেই থাকুন…!!