প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২১ , ১২:৫৮:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
উত্তরবঙ্গের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস বিলুপ্তির পথে উত্তরবঙ্গে শীত মৌসুমের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাংলার খেজুরের রস নিয়ে ব্যস্ত থাকত গ্রাম বাংলার মানুষ। লালমনিরহাট জেলার প্রতিটি উপজেলায় কমবেশি শীত কালীন সময়ে খেজুরের রস ও গুর পাওয়া যায়।
এক সময় গ্রাম বাংলার রাস্তার দু’পাশে সারি সারি খেজুর গাছ দেখা যেত।শীতের সময়ই পাওয়া যায় সুস্বাদু পানীয় খেজুর গাছের রস। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে এই সুস্বাদু খেজুর গাছের রস পানের মজাই আলাদা। ভরা মৌসুমে রস সংগ্রহের জন্য শীতের আগমনের শুরু থেকেই প্রতিযোগিতায় মেতে গ্রাম বাংলার মানুষেরা।
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে সেই ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাংলার খেজুরের গাছ।
এক সময় গ্রাম বাংলার মানুষেরা শীত মৌসুমে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তা দেখা যায় না। কালের বিবর্তনে মানুষ এখন নিজ নিজ কর্মকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গুলো । যদিও একটু দেখা যায় তবে আগের মত না ।এজন্যই দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস ও গুড় । যদিও শীতের আগমন দেখা যাচ্ছে শীত এসে পড়েছে কিন্তু খেজুর গাছের দেখা মিলছে না এখনও তেমন একটা শীতের দেখা না মিললেও এরই মধ্যে খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই।
গাছ সংকটের কারণে প্রতি বছরের মতো এ বছরও চাহিদা অনুযায়ী রস পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা অনেক গাছির।কয়েক বছর আগেও এলাকার প্রতিটি বাড়িতে, ক্ষেতের আইলের পাশে ও রাস্তার দুই ধারে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ।
গাছটি সাধারণত উপযোগী আবহাওয়ায় জন্মে। প্রতি বছরে ৪ মাস খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। এ রস অত্যন্ত সুস্বাদু ও মানবদেহের উপকারিতার কারণে মানুষের কাছে অতি জনপ্রিয়।
শীতকালে শহর থেকে মানুষ ছুটে আসতো গ্রামবাংলার খেজুর রস খেতে। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেতো তখন। রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা, দানা গুড় ও পাটালি গুড় তৈরি করতেন তারা। যার স্বাদ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন অবশ্য সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রূপকথা মনে হতে পারে। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ।
খেজুর গাছ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এছাড়া খেজুর পাতা দিয়ে আর্কষণীয় ও মজবুত পাটি তৈরি হয় এসব এলাকাতে এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যাপক ব্যবহার হয় খেজুর পাতা। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, কালের বির্বতনসহ বন বিভাগের নজরদারি না থাকায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশবান্ধব খেজুর গাছ এখন বিলুপ্তির পথে।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চারা উৎপাদন খেজুর গাছ সংরক্ষণ করতে হবে তাহলে আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারব ।