প্রতিনিধি ৯ অক্টোবর ২০২২ , ১০:১১:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের সলঙ্গায় অবস্থিত প্রায় পাঁচশ’ বছরের পুরোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির৷
উঁচু একটি বেদীর উপর নবরত্ন পরিকল্পনায় নির্মিত মন্দিরের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ১৫ দশমিক ৪ মিটার এবং প্রস্থ ১৩ দশমিক ২৫ মিটার৷ হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দিরে চারপাশের দেয়ালে রয়েছে নানা রকম পোড়ামাটির অলঙ্করণ৷ এসব অলঙ্করণে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানান দেব-দেবীর মূর্তি, লতা-পাতা, ফুল ইত্যাদি৷
তিনতলা বিশিষ্ট এই স্থাপনার উপরের রত্ন বা চূড়াগুলো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে৷ মূল মন্দিরের বারান্দায় সাতটি এবং ভেতরের দিকে পাঁচটি প্রবেশপথ আছে৷ দ্বিতীয় তলায় কোনো বারান্দা নেই৷ মন্দিরের নির্মাণের সময় সম্পর্কিত কোনো শিলালিপি পাওয়া যায়নি৷ আনুমানিক ১৭০৪ থেকে ১৭২৮ সালের মধ্যে মুসলিম নবাব মুর্শিদকুলি খানের শাসনামলে এটি নির্মিত হয়৷নবাব মুর্শিদকুলি খানের নির্দেশে রামনাথ ভাদুরী নামে জনৈক তহসিলদার এটি নির্মাণ করেন বলে জানা যায়৷
হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দিরের আশপাশে আরো তিনটি ছোট মন্দির রয়েছে৷
নবরত্ন মন্দিরের উত্তর পাশে আছে শিব-পার্বতী মন্দির৷শিব-পার্বতী মন্দিরের একটু পশ্চিমে রয়েছে দোচালা আকৃতির একটি মন্দির৷ এর নাম চণ্ডি মন্দির৷হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির লাগোয়া পুকুরের পশ্চিম পাশে আছে ছোট একটি শিব মন্দির৷ বাইরের চারপাশের দেয়ালে পোড়া মাটির অলঙ্করণে শোভিত এ মন্দিরটিও খুব সুন্দর৷ স্থান ও কাল ভেধে এই মন্দিরটি এখন একটা পর্যটন স্হান হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে, প্রতিদিন প্রায় হাজার মানুষ দেখতে আসে এই নিদর্শনটি।
মন্দির এর চার পাশে বাউন্ডারি দেওয়া হয়েছে। মন্দির টায় ঘিরে রয়েছে শত বছের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দিরসহ এখানকার সবগুলো মন্দিরই বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে স্বীকৃত৷ এগুলোর দেখভালও করে থাকে সরকারের এই সংস্থা