প্রতিনিধি ১ নভেম্বর ২০২১ , ১১:২৭:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সলংগা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
অন্যথায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদদদাতা, উসকানিদাতা নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার সম্মুখীন হবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে নিজের বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব নির্দেশনার কথা জানান তিনি।
‘শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রধানের নির্দেশে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে’ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অপকর্ম করলে কেউ রেহাই পাবে না- শাস্তি তাদের পেতেই হবে।’ তিনি বলেন, ‘ছলে-বলে-কৌশলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হলে শৃঙ্খলাবিরোধী অপকর্ম বলে গণ্য করা হবে।’
আগামীকাল ২ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।এদেশের ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক এবং নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত এদেশে কারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, কারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, সেটা নতুন করে বলার বিষয় নয়।’
বিএনপি ক্ষমতায় যেতে এবং ক্ষমতা অবৈধভাবে ধরে রাখতে সাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর নির্ভর করে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৯১ সালেও বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে।’ তিনি বলেন, ‘দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির আমলে। দেশের ৬৩টি জেলায় একইসঙ্গে বোমা হামলা হয়েছিল বিএনপির শাসনামলে, শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাইরা যে উগ্রপন্থার জন্ম দিয়েছিল তার প্রশ্রয়দাতা আর আশ্রয়দাতা ছিল বিএনপি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়, অন্যদিকে বিএনপি চায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে।’ সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র বানায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। ক্ষমতায় যেতে বিএনপিই ধর্মকে আর সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।
‘
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, ‘আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদের আজান বন্ধ হয়ে যাবে, উলুধ্বনি বাজবে- এসব বক্তব্য কারা রেখেছিল? ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা আর ভারত বিরোধিতা তাঁদের কাছে রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড।’ তিনি বলেন, ‘এখন আর এসবে কেউ কান দেয় না, বিএনপির স্বার্থান্বেষী, ক্ষমতার রাজনীতি নতুন প্রজন্মের কাছেও স্পষ্ট।’